দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বেড়ে গেছে মসলার দাম। প্রতি কেজি মসলার দাম ৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা দেখাচ্ছেন নানা পুরনো সমস্যা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়ে গেছে আমদানি খরচ। এ ছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতকে কেন্দ্র করে বেড়েছে কনটেইনার ভাড়া। এর ওপরে রয়েছে সরবরাহ সংকট। এতে করে বেড়েছে মসলার দাম।
ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, ডলারের লাগাম ধরতে না পারলে ঈদের আগে আরেক দফা বাড়বে মসলার দাম।
তবে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাবের) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলছেন, বাজার তদারকি না থাকার কারণেই পণ্যের দাম ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো বাড়াচ্ছেন।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আগে জিরা কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকা। এখন তা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৯৫ থেকে ৪০৫ টাকা। ইরান থেকে আসা জিরার দাম বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। আগে তা বিক্রি হতো ৩৮০ টাকায়। ভারতীয় জিরা খাতুনগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। ঈদের আগে তা বিক্রি হয়েছে ৩৭৫ থেকে ৩৮০ টাকায়। শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকারও বেশি। ধনিয়া প্রতিকেজি ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা কেজিতে। এ ছাড়া মসুর ডাল ও মটর ডাল কেজিপ্রতি বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা।
ঈদের আগে ভারতীয় হলুদ বিক্রি হয় ১১২ টাকায়। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। দেশি হলুদ বিক্রি হয়েছিল ৯২-৯৩ টাকায়। এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০২ টাকায়। ঈদের আগে দেশি শুকনা মরিচ বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা করে।
দাম বাড়ার বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাবের) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, মসলার বেশ কিছু আইটেমের দাম কোনো কারণ ছাড়াই বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মূলত অতিরিক্ত মুনাফা করতেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে কে কীভাবে মানুষের পকেট কাটতে পারে তা নিয়ে। শুকনা মরিচ তো দেশি পণ্য। এটা তো আমদানি করতে হয় না। অথচ এটারও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজার মনিটরিং সম্পর্কে নাজের হোসাইন বলেন, ভোক্তা অধিকার মাঠে ছিল, মিসগাইড করে তাদের কার্যক্রমকেও দমিয়ে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। তাদের বিভিন্নভাবে চাপে রাখছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ যদি বাজার মনিটরিংয়ে না থাকে তাহলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো মুনাফা করবে। সবমিলিয়ে ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
রাজশাহীর সময়/এএইচ