২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৪০:২৫ অপরাহ্ন


তানোরে চোরা পথে আশা নিম্নমানের সারে বাজার সয়লাব
আরিফ হোসাইন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-১১-২০২৪
তানোরে চোরা পথে আশা নিম্নমানের সারে বাজার সয়লাব তানোরে চোরা পথে আশা নিম্নমানের সারে বাজার সয়লাব


রাজশাহীর তানোরে সার বিপণন নীতিমালা লঙ্ঘন করে ফের নন ইউরিয়া এমওপি, ডিএপি ও টিএসপি সার চোরা পথে এনে বেশী দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সার বিপণন নীতিমালা অনুযায়ী এক উপজেলার সার অন্য উপজেলায় বা এক ইউপির সার অন্য ইউপি এলাকায় নেয়া যাবে না। এছাড়াও অনুমোদিত ডিলার ব্যতিত কীটনাশক ব্যবসায়ীরা যত্রতত্র সার বিক্রি করতে পারবেন না। তানোরে ডিলারদের কাছে প্রয়োজনীয় সার না পেলেও বেশী দাম দিলেই খোলা বাজারে সার পাওয়া যাচ্ছে। কৃষকের অভিযোগ তানোরে চলছে রীতিমতো সার চোরাচালানের মহোৎসব। চোরা পথে আশা রশিদ বিহীন এসব সার আসল, নকল না নিম্নমাণের তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, কৃষি বিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তার মদদে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র ক্রয় রশিদ ছাড়াই নন ইউরিয়া সার গোদাগাড়ী, নাচোল, মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট, গোছা, ধুরইল,শ্যামপুর এবং মান্দা উপজেলার সবাইহাট, দামনাশ ও দেলুয়াবাড়ী থেকে চোরা পথে এনে বিভিন্ন এলাকায় মজুদ করে বেশী দামে বিক্রি করছে। এতে সরকার অনুমোদিত ডিলারদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে সার আসল-নকল না নিম্নমাণের সেটা বোঝার ক্ষমতা নাই অধিকাংশ কৃষকের। ফলে কৃষকের এই সরলতার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন একশ্রেণীর কীটনাশক ব্যবসায়ী। যারা চোরা পথে সার এনে বিক্রি করছেন। অন্যদিকে ক্রয় রশিদ না থাকায় এসব সার আসল-নকল না চোরাই সেটি নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আবার এসব সার কিনে কৃষকেরা প্রতারিত হলে ক্রয় রশিদ না থাকায় তারা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার এক সার ডিলার বলেন, এই কৃষি কর্মকর্তার সময়ে সার নিয়ে যে অরাজকতা চলছে, তাতে তাদের ব্যবসা করা দায়, এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন। কারণ ব্যাংক ঋণের টাকায় তাদের ব্যবসা এভাবে চোরাপথে সার আশা বন্ধ না হলে তাদের দেউলিয়া হতে হবে। তাছাড়া ডিলারসীপ ব্যতিত যদি যে কেউ সার বিক্রি করতে পারেন, তাহলে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে তাদের ডিলারসীপ নেয়ার প্রয়োজন কি ?

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তানোর পৌর এলাকার তালন্দ বাজারের বালাইনাশক ব্যবসায়ী মনিরুলের দোকানে মজুদ সারের কোন মেমো দেখাতে না পারার অপরাধে ১ লাখ ২৬ হাজার, একই কারনে টিপুর ১০ হাজার ও গণেশের ১৫ হাজার এবং কলমা ইউপির সার ব্যবসায়ী নজরুলের সার পাচারে দায়ে এক লাখ টাকা, ধানতৈড় মোড়ের খুচরা সার ব্যবসায়ী জসিমের ট্রাকে করে সার নামানোর দায়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, সার নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, বাইরে থেকে তানোরে সার আসলে সমস্যা নাই, তবে তানোর থেকে বাইরে সার নেয়া যাবে না বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।