মিস ইউনিভার্সের মঞ্চ থেকে বিতাড়িত হলেন পানামার প্রতিযোগী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে প্রেমিকের হোটেলে গিয়ে একসঙ্গে থাকছিলেন। তার জেরেই প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁকে। যদিও সরকারিভাবে এই নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি মিস ইউনিভার্স আয়োজকদের তরফে।
জানা গিয়েছে, মিস ইউনিভার্সে এবার পানামার প্রতিনিধিত্ব করছিলেন ১৯ বছর বয়সি ইটালি মোরা। কিন্তু প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই তিনি বিতর্কে জড়ান। মোরার দাবি, তাঁর জন্য সঠিক পোশাকের ব্যবস্থা করেননি মিস ইউনিভার্স পানামার আয়োজকরা। তাই বাধ্য হয়ে তাঁর প্রেমিক জুয়ান আবাদিয়াই ৭ হাজার ডলার খরচ করে ক্যারোলিনা হেরেরার ডিজাইনার পোশাক কিনে দেন প্রতিযোগিতায় পরার জন্য। শোনা যায়, মোরার মেকআপ এবং হোটেলের খরচ দেওয়ার ক্ষমতাও নাকি নেই পানামার মিস ইউনিভার্স আয়োজকদের। সেই খরচও বহন করেন জুয়ান।
এই বিষয়গুলো জানতে পেরে প্রথম থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন মিস ইউনিভার্সের আয়োজকরা। তবে দুপক্ষে সংঘাত চরমে ওঠে মোরাকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে একঘরে দেখতে পাওয়ার পর। মিস ইউনিভার্সের নিয়ম অনুযায়ী, প্রেমিকের সঙ্গে এক হোটেলে থাকতে পারবেন না প্রতিযোগীরা। কিন্তু সেই নিয়ম ভেঙেছেন মোরা। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে আয়োজকদের তরফে বলা হয়, মোরার ব্যক্তিগত ‘অপরাধ’-এর জন্যই তিনি বাদ পড়ছেন প্রতিযোগিতা থেকে। পানামার তরফ থেকে জানানো হয়, মিস ইউনিভার্সে নতুন করে কোনও প্রতিযোগীকে পাঠানো সম্ভব হবে না। এমনকি মিস পানামার খেতাবও কেড়ে নেওয়া হয়েছে মোরার থেকে।
ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরী হওয়ার স্বপ্ন এভাবে ভেঙে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন মোরা। তবে প্রতিযোগিতা ছেড়ে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, প্রেমিক সঙ্গে না থাকলে এই ধাক্কা সামলানো খুবই কঠিন। তবে নিয়ম না জেনে ভুল করে ফেলেছেন বলে স্বীকার করে নেন মোরা। উল্লেখ্য, এবারের মিস ইউনিভার্সে অংশ নিচ্ছেন ১৩০টি দেশের প্রতিযোগিরা। মেক্সিকো সিটিতে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ নভেম্বর। কিন্তু ফাইনালের মাত্র চারদিন আগে বহিষ্কৃত হতে হল মোরাকে।