অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসকে সুদখোর উল্লেখ করে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আব্দুল জলিল তার ফেসবুক আইডি থেকে দেয়া স্ট্যাটাসে লেখেন " আচ্ছা বলুনতো নিজাম উদ্দিন আউলিয়া ডাকাত থেকে যদি আল্লাহ ঐশী শক্তিতে বুজুর্গ পীর হতে পারে, তা হলে সুদখোর ইউনুস কেন জামাত শিবিরের রুহানি কালপের দোয়ায় বুজর্গ পীর (কামেল) হতে পারবে না? হেদায়েতের মালিক এক জন।" আব্দুল জলিল ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২০০৪ সালে আব্দুল জলিল উপজেলা প্রশাসনের একটি মিটিং এ হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে এক মাস জেল খাটেন।
জানা যায়, আব্দুল জলিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র থাকায় অবস্থায় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। পরবর্তীতে ৯০ দশকের শেষের দিকে ভাঙ্গুড়া সদরে অবস্থিত মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হন। অধ্যক্ষ হওয়ার পরেও তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি পরিচালনার জন্য অর্থ ব্যয় করতেন বলেও জানা যায়। আব্দুল জলিলের ছোট ভাই আব্দুল ওয়াহেদ উপজেলার অষ্টমীণীষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগ আছে, আব্দুল জলিলের রাজনৈতিক প্রভাবে তার স্ত্রী সৈয়দাতুল কোবরাকে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদে কর্মরত রয়েছেন। আব্দুল জলিলের এই স্ট্যাটাসে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আমির হোসেন সহ অনেক আওয়ামী লীগ নেতা সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য করেছেন।
এ বিষয়ে আব্দুল জলিল বলেন, অনেকেই তো ডক্টর ইউনুসকে সুদখোর বলেন। তাই আমি ফেসবুকে সুদখোর লিখে স্ট্যাটাস দিয়েছি। যে আল্লাহ তাকে হেদায়েত দানও করতে পারে।