২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৪:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন


রফতানি বাজার: সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে বাংলাদেশ?
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৪-২০২২
রফতানি বাজার: সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে বাংলাদেশ? রফতানি বাজার: সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে বাংলাদেশ?


দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে চলছে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট। এর প্রভাব পড়েছে দেশটির আমদানি বাজারে। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পোশাক খাতের বাজারটি বাংলাদেশ পেতে পারে এমন সম্ভাবনা প্রকট হয়ে উঠছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, কতখানি সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ এশিয়ায় একসময়ের সমৃদ্ধ দেশ ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ঋণের জাল ও দুর্নীতির করাঘাতে পিষ্ট হয়ে পড়েছে দেশটি। মানুষের জীবনধারণ দিনকে দিন কঠিন হয়ে পড়ছে সেখানে। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার ১০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি বাণিজ্যের অর্ধেকের বেশি তথা ৬ বিলিয়ন ডলার পোশাক।

 কিন্তু যেখানে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোই দায়, সেখানে রফতানি বাজারে নিজেদের জায়গা ধরে রাখা অচিন্ত্যনীয়। ইতোমধ্যে পশ্চিমা ক্রেতারা শ্রীলঙ্কার বাজার ছেড়ে বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন। 

অন্যদিকে আবারও রাজনৈতিক সংকটে পাকিস্তান। পাকিস্তানের রফতানি বাজারের মূল্যমান ২০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এর মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি জায়গা দখল করে আছে তৈরি পোশাক। ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকট দীর্ঘায়িত হলে সেখানকার ক্রেতারাও বাংলাদেশমুখী হবেন। 

এর আগে মিয়ানমারে সামরিক জান্তার উত্থানে ইতোমধ্যে সেখানকার বাজারের সিংহভাগ এখন বাংলাদেশের দখলে। 

বাংলাদেশের রফতানি বাজারে এখন বইছে ফাগুন হাওয়া। এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আগামী ১০-১৫ বছর রফতানি খাতে বাংলাদেশকে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

বাংলাদেশের রফতানি আয়ের সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে নিট। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৯ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারের নিট পোশাক রফতানি করেছিলেন এ খাতের রফতানিকারকরা। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে অর্থাৎ জুলাই-মার্চ সময়ে এ খাত থেকে এসেছে ১৭ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি মুদ্রা। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে রফতানি বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

 বাংলাদেশের রফতানি আয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত হচ্ছে ওভেন। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৫ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারের নিট পোশাক রফতানি করেছিলেন এ খাতের রফতানিকারকরা।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে অর্থাৎ জুলাই-মার্চ সময়ে এ খাত থেকে এসেছে ১৪ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি মুদ্রা। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে রফতানি বেড়েছে ৩২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

 করোনা মহামারির মধ্যেও গত ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য রফতানি থেকে ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) চেয়ে বেড়েছিল ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ। পোশাক রফতানি থেকে এসেছিল ৩১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

 আর চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) মোট ৩৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। পোশাক রফতানি থেকে এসেছে ৩১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৮১ শতাংশ।

রাজশাহীর সময় / এম আর