অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে গত কয়েক মাস ধরে। এ নিয়ে জল্পনা চলছে বি-টাউনে। সংসারে বনিবনার অভাবেই নাকি তাঁদের মধ্যে দূরত্ব। তাই এক ছাদের তলায় আর তাঁরা থাকেন না। ঐশ্বর্যার বেশির ভাগ সময় কাটে একমাত্র মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনকে সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু এক সময় ঐশ্বর্যা ও অভিষেকের সম্পর্কের সমীকরণ এমন ছিল না। পরস্পর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতেন তাঁরা।
নানা রকমের সমালোচনা মুখে পড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে অভিষেকের। সমাজমাধ্যমে ট্রোলডও হয়েছেন তিনি। এই সময় অভিষেককে সাহস জুগিয়েছেন স্ত্রী ঐশ্বর্যা। সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন অভিষেক। স্ত্রীর পরামর্শ মেনেই তিনি সমালোচনাকে গুরুত্ব না দিয়ে জীবনে এগোতে পেরেছিলেন। ঐশ্বর্যার পরামর্শ ছিল, “দশ হাজার মানুষ তোমাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেবেন। কিন্তু তার মধ্যেও একটি নেতিবাচক মন্তব্য তোমার উপরে প্রভাব ফেলতে পারে।” ঐশ্বর্যার এই কথা মনে ধরেছিল অভিষেকের। তখন থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, শুধু নিজের কাজে ও ইতিবাচক মন্তব্যকে গুরুত্ব দেবেন। গঠনমূলক সমালোচনা শুনবেন কিন্তু এই সবের জন্য মন খারাপ করবেন না।
ঐশ্বর্যা আরও নানা পরামর্শ দিয়ে অভিষেককে সাহস জুগিয়েছিলেন। দুঃসময়ে স্ত্রীর দেওয়া আরও একটি পরামর্শ ছিল— “ব্যর্থতা তোমার সঙ্গে মানিয়ে নেবে। তোমাকে ব্যর্থতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে না।” এর পর থেকেই নিজের ব্যর্থতার কথা ভুলে এগিয়ে যেতে শিখেছিলেন অভিষেক। অভিনেতা বলেছিলেন, “আমি সব সময় ব্যর্থতা থেতে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করি।”দীর্ঘ ১৭ বছরের দাম্পত্য অভিষেক-ঐশ্বর্যার। ২০০৭ সালে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন তাঁরা। ২০১১ সালে আরাধ্যার জন্ম। কিন্তু গত কয়েক দিনে নাকি এসেছে দূরত্ব। এও শোনা যাচ্ছে, অভিনেত্রী নিমরত কৌরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও দাম্পত্যে দূরত্ব তৈরি হওয়ার অন্যতম কারণ।