১৮ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার, ১১:২৪:০৪ অপরাহ্ন


দোকানিকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১০-২০২৪
দোকানিকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দোকানিকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে


পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকড়ি বাসস্ট্যান্ডে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মনির হোসেন হাওলাদার নামের এক দোকানিকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তার দোকানের মালামাল তছনছ করা হয় বলে অভিযোগ করেন দোকানি।

আহত মনির হোসেন হাওলাদারকে (৩১) ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত মনির হোসেনের বড় ভাই ইব্রাহিম মাস্টার জানান, উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা ঝালকাঠি পুলিশ লাইনে কর্মরত উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. বশির মাতুব্বরের কাছ থেকে তার ছোট ভাই দোকান ভাড়া নিয়ে স্যানিটারি মালামাল এবং রড সিমেন্টের ব্যবসা করে। ওই দোকানের ভাড়াও নিয়মিত পরিশোধ করে আসছে তার ছোট ভাই। দোকানের পাশের কিছু জমি ৬ লাখ টাকায় ক্রয় করতে দোকান মালিক বশির মাতুব্বরের সঙ্গে চুক্তি হয়। এর বায়না বাবদ আড়াই লাখ টাকা পরিশোধ করেন তারা দুই ভাই। কিন্তু দীর্ঘদিন পর্যন্ত ওই জমি রেজিস্ট্রি না দিয়ে পুলিশি প্রভাব খাটিয়ে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকেন।

এ নিয়ে দুই মাস আগে ঝগড়া হলে ওই দোকান তালাবন্ধ করে দেন ঘর মালিকের চাচাতো ভাই কবির হোসেন মাতুব্বর ও তার সহযোগীরা। ওই তালার উপরে দোকানি মনির হোসেন তালা লাগিয়ে দেন। এ নিয়ে মামলা করেন দোকানি মনির হোসেনের বড় ভাই মো. ইব্রাহিম। বর্তমানে ওই মামলা পিবিআইতে তদন্তাধীন।

শুক্রবার সকালে ওই পুলিশ কর্মকর্তা মো. বশির মাতুব্বর দোকানের তালা কেটে দোকানে প্রবেশ করলে দোকানি মনির হোসেন এতে বাধা দেন। এ সময় বশির মাতুব্বর ও তার ৬ সহযোগী মনির হোসেনকে চেয়ার দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। আহত মনির হোসেন হাওলাদারকে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মো. ইব্রাহীম মাস্টার আরও জানান, এই পুলিশ সদস্যের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। এ চক্রটির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন।

ঝালকাঠি পুলিশ লাইনে কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইকড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. বশির মাতুব্বর জানান, তার দোকানের দুই বছরের ৮৮ হাজার টাকা ভাড়া বাকি রয়েছে। এরা ভাড়াও দিচ্ছে না আর দোকানও ছাড়ছে না। তিনি শুক্রবার সকালে সেখানে তার দোকান খালি করতে গিয়েছিলেন। তবে জমি বিক্রি বাবদ বায়না করে অর্থ নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।