বাইরে বেরোলেই রোদ, ঘাম আর তার সঙ্গেই দুর্বলতা – অল্পতেই খিটখিটে ভাব। দিনের শেষে বাড়ি ফিরে যেন আর কোনওরকম ইচ্ছেশক্তি থাকে না। গরম মানেই শরীরে এক অন্য ধরনের অলসতা। একটু খেয়াল করলে দেখা যায়, বেশিরভাগ সময় জলের অভাবে শরীরে শুষ্ক বোধ হয়। আর এই সময় নুন বেরিয়ে যাওয়ার কারণে শরীর এমনিও দুর্বল হয়ে পড়ে। তাহলে? কী করবেন?
পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ নীতিকা কোহলি বলছেন, যতই যাই হোক নিজের শরীরকে সুস্থ এবং গরমের রোদ তাপ থেকে সক্রিয় রাখতে গেলে, অথবা শক্তি বজায় রাখতেই যোগাসন ছাড়া ভাল আর কিছুই নেই। কারণ অতিরিক্ত গরমে শরীরে মেটাবোলিজম নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে থাকে। শরীরের পিত্ত দশার প্রভাবে মানুষ অলস বোধ করতে থাকে। শরীরের ভেতরের অগ্নি উত্তপ্ত অবস্থায় থাকে, একে সীমিত করা দরকার নইলে অস্বস্তি একেবারেই কমবে না।
অত্যধিক গরমে নিজেকে ভাল রাখতে, পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করতে যে আসন-গুলো সময় বের করে অবশ্যই করবেন, তার মধ্যে ;
তাদাসন: একে ইংরেজিতে মাউন্টেন পোজ বলা হয়ে থাকে। এটি শক্তি প্রদান করে, অনেক সময় দেখা যায় এটির থেকে শরীরে স্নিগ্ধ ভাব এবং রক্ত সঞ্চালনের মাত্রাকে সঠিক রাখে।
সভাসানা: এই আসন অনেকের কাছেই বেশ পছন্দের, এবং অভ্যাস করাও সুবিধা। শরীরের আদ্রতা বজায় রাখে, একে শক্তি প্রদান করে। শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ কমায়, হার্টের সমস্যাও কম করে।
ভূজঙ্গাসন: একে বলা হয় কোবরা পোজ। যেহেতু সম্পূর্ন আসন টি বুক তথা তলপেটের ওপর ভর করে করা হয় তাই এটি হার্ট এবং ফুসফুসের জন্য খুব ভাল।
অঞ্জনেয়াসান: দৈহিক ভারসাম্য রক্ষা করে। বুক পেট, কাঁধ একসঙ্গে সবেতেই শক্তি সঞ্চয় করে। মানসিক অসন্তোষ কম করে।
অস্বস্তি এইসময় খুব স্বাভাবিক, তাই চেষ্টা করতে হবে যেন মন থেকে সুস্থ থাকা যায়। মানসিক চাপ হলে শরীরের জ্বলুনি আরও বাড়বে।
রাজশাহীর সময় / এম আর