আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১৮ মন্ত্রী ও ৮ সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
যাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে— সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, সাবেক প্রবাসী ও কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুল হক, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, সাবেক ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, কাজী নাবিল আহমেদ, শহিদুল ইসলাম বকুল, এ কে এম সরওয়ার জাহান, শেখ আফিল উদ্দিন, মেহের আফরোজ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও শেখ হেলাল উদ্দিনকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাবেক ১০ মন্ত্রী ও তিন সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এরপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত অভিযুক্তদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ দেন।
এছাড়া দুদকের উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাবেক আট মন্ত্রী ও পাঁচ সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর শুনানি করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। আদালত তাদের বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা দেন।