একটা সময়ে অরণ্যই ছিল মানুষের খাদ্যের প্রধান উৎস। আদিম জীবনের কথা ছেড়ে দিলেও জঙ্গল থেকে পাওয়া যেত প্রচুর পরিমাণে শাক, ফল, কন্দ। তাই খেয়ে জীবন আর স্বাস্থ্য দুই রক্ষা হত মানুষের। ইটাওয়ার জঙ্গলে তেমনই এক সময়ে প্রচুর পরিমাণে জন্মাত কন্দরু বা কুঁদরি বা তরুলি।দেখতে আমাদের খুব চেনা পটলের মতো।
তবে, দিন-কাল বদলে গিয়েছে। ইটাওয়ার জঙ্গলে এখনও কন্দরু উৎপন্ন হয়, তবে তা দিন দিন বেড়ে চলা চাহিদার পক্ষে অপর্যাপ্ত। তাই কৃষকেরা মন দিয়েছেন কন্দরু বা কুঁদরি বা তরুলি র চাষে।
চাইলে যে কেউ নিজের বাগানেও কন্দরু চাষ করতে পারেন। এর জন্য লাগবে বেলে মাটি। বীজ বপনের প্রয়োজন নেই, কন্দরুর ডাল পুঁতে দিলেই তা থেকে গাছ জন্মাবে।
ইটাওয়ার বাজারে এ হেন কন্দরু কেজি প্রতি ৬০ টাকায় বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে। দাম কম নয়, কিন্তু চাহিদা এত বেশি যে তা যেন পড়তে পাচ্ছে না! বিক্রেতা সাকিব নিজে সে কথা স্বীকার করেছেন লোকাল ১৮-এর কাছে। হবে না-ই বা কেন! সুস্বাদু এই কন্দরু যে নানা পুষ্টিগুণের আকর। ড. ভীমরাও আম্বেদকর রাজকীয় সংযুক্ত চিকিৎসালয়ের ডায়েটিশিয়ান ডা. অর্চনা সিং কন্দরুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন লোকাল ১৮-কে।
তিনি বলেছেন যে ডায়াবেটিস রোগীদের নিজেদের খাদ্যতালিকায় কন্দরু বিশেষ ভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। তাঁরা এতে উপকৃত হবেন।
কেন না, কন্দরুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স লেভেল কম, ফলে এটি সহজেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। একই কারণে, যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদেরও সুফল দেবে এই সবজি।
কন্দরু আয়রনে ভরপুর, ফলে তা শরীরে রক্ত বাড়াতেও কাজে আসে। এই কারণে যাঁরা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন, তাঁরা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের ডায়েটে কন্দরু রাখতে পারেন।
কন্দরু আয়রনে ভরপুর, ফলে তা শরীরে রক্ত বাড়াতেও কাজে আসে। এই কারণে যাঁরা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন, তাঁরা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের ডায়েটে কন্দরু রাখতে পারেন।