নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর আন্দোলনকারীরা।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিেকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পেয়ে আন্দোলনকারীরা তার বাড়িতে হামলা চালায়। তবে ওই সময় তার বাসভবন বন্ধ ছিল। ওই ঘরে থাকতেন কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগের কথা শুনে স্বপরিবারে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এর আগে, বিকেল ৫টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়াও কোম্পানীগঞ্জে প্রায় শতাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মির বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযাগের ঘটনা ঘটায় আন্দোলনকারীরা।
অপরদিকে, একই দিন সকালে নোয়াখালীর জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে মিছিল নিয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় হাজার হাজার মানুষ। পরে বেলা দেড়টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থনকারীরা মাইজদী শহরে বিজয় মিছিল করে। এর আগে, সকালে জেলা পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়, সোনাপুর রেলস্টেশনসহ একাধিক আওয়ামী নেতার বাসভবনও অফিসে হামলা ভাংচৃর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তবে ওই সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঠে দেখা যায়নি।
স্থানীয় বাদশা মিয়া জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থনকারীরা সদর উপজেলার সোনাপুর এলাকায় জড়ো হয়। এরপর তারা সাড়ে ১০টার দিকে সোনাপুর রেলস্টেশনে হামলা চালায়। একই সময়ে নোয়াখালী পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাসিম উদ্দিন সুনামের বাসায় হামলা চালায়। সেখান থেকে জেলা শহরের রশীদ কলোনীতে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীনের ৩টি বাসায় হামলা ও ভাংচুর চালায় আন্দোলনকারীরা। বাসার নিচে থাকা একটি পিকআপ ভ্যানেও অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দিন ওরফে সিএনজি কামালের সোনাপুর লিংক রোডের অফিসে ও শ্রমিক নেতা রাশেদ উদ্দিনের জেলা পরিষদের সামনের অফিসে হামলা ও অফিস থেকে জিনিসপত্র বের করে অগুন দেয়া হয়।
যোগােযোগ করা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, আমাকে হত্যা করার জন্য এই হামলা চালানো হয়। হামলার সময় আমি বাসায় ছিলাম। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আমােকে উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা রুখে দাঁড়ালে হামলাকারীরা চলে যায়।
এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।