হাতের কাছে ক্রিম না থাকলে অ্যালোভেরা জেল মেখে নেন মুখে। ছোটখাটো কাটাছেঁড়ায় অ্যালোভেরা লাগিয়ে নেন। গায়ে র্যাশ বেরোলেও ভরসা অ্যালোভেরা। কিন্তু কখনও ডায়াবেটিসে অ্যালোভেরা খেয়ে দেখেছেন? রূপচর্চায় যুগ যুগ ধরে অ্যালোভেরা ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু অ্যালোভেরার গুণাগুণ এখানেই সীমাবদ্ধ নয়।
স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে এই প্রাকৃতিক উপাদান। বিশেষত, ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরার নির্যাস।
অ্যালোভেরার মধ্যে লেকটিন, ম্যাননান্স ও অ্যানথ্রাকুইনোনের মতো বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ রয়েছে। এসব উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মূলত, এসব রাসায়নিক উপাদানগুলো অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি কোষকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে এবং শারীরিক প্রদাহ কমায়। এসব উপকারিতা তখনই মিলবে, যখন অ্যালোভেরা খাবেন। কীভাবে খাবেন? রইল সেই টিপসও।
অ্যালোভেরার জুস- সকালবেলা খালি পেটে অ্যালোভেরার জুস খান। অ্যালোভেরা নির্যাস বের করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এতে জল, নুন, লেবুর রস মিশিয়ে খান। এছাড়া আপনি এতে শসা ও আনারসের রসও মেশাতে পারেন।
অ্যালোভেরার স্মুদি- স্বাদের জন্য অনেকেই অ্যালোভেরা খেতে চান না। সেক্ষেত্রে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। স্ট্রবেরি, কমলালেবুর সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে নিন। এই পানীয় ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী।
অ্যালোভেরার তরকারি- অ্যালোভেরার পাতা কেটে ভাল করে ধুয়ে নিন। হলুদ অংশ বেরিয়ে গেলে অ্যালোভেরার পাতা টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। এবার নুন-হলুদ দিয়ে অ্যালোভেরা ভাপিয়ে নিন। ৮-১০ মিনিট সেদ্ধ করবেন। এরপর অ্যালোভেরার জল ঝরিয়ে নিন। কড়াইতে তেল গরম করুন। এতে গোটা জিরে, সর্ষে, হিং ও কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিন। এরপর এতে সেদ্ধ অ্যালোভেরার টুকরোগুলো দিন। এরপর হলুদ-লঙ্কার গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, মৌরি গুঁড়ো, আমচুর পাউডার ও স্বাদমতো নুন দিয়ে কষিয়ে নিন। তৈরি অ্যালোভেরার তরকারি। ভাত বা রুটির সঙ্গে খেতে পারেন অ্যালোভেরার তরকারি।
অ্যালোভেরার চা- বিকালবেলা অ্যালোভেরার চা খেতে পারেন। সসপ্যানে জল গরম বসান। এতে এক চামচ আদা ও এক চামচ অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে দিন। জল ফুটে উঠলে এতে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে দিন। এরপর গ্যাস বন্ধ করে দিন। তৈরি অ্যালোভেরার চা। এই চা ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে এবং বদহজমের সমস্যা দূর করবে।