২২ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৯:১৫:০০ অপরাহ্ন


চোরাই ১৩টি উদ্ধারসহ আসামি গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৬-২০২৪
চোরাই ১৩টি উদ্ধারসহ আসামি গ্রেফতার চোরাই ১৩টি উদ্ধারসহ আসামি গ্রেফতার


ফেনীর দাগনভূঞা এলাকায় ব্যবসায়ীর খামার থেকে ১৩ টি গরু চুরি মামলার মূলহোতা সোলাইমান এবং তার এক সহযোগী’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ভুক্তভোগী মোঃ দাউদ খান ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানাধীন পূর্ব জয় নারায়নপুরের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন আইনজীবি। তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ বটতলা এলাকায় খাঁন এগ্রো নামীয় একটি গরুর ফার্ম পরিচালনা করে আসছেন।

বুধবার (৮ জুন) দিনগত রাত আড়াইটা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের একটি দল ছুরি সহ খাঁন এগ্রো ফার্মের ভিতর প্রবেশ করে তার কর্মচারীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে খামারে থাকা ২১টি গরুর মধ্যে ১৩টি শাহীওয়াল জাতের গরু চুরি করে ট্রাক যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে খাঁন এগ্রো ফার্মের মালিক মোঃ দাউদ খাঁন বাদী হয়ে ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৬, তারিখ- ৯ জুন ২০২৪ ইং, ধারা- ৩৮২, পেনাল কোড-১৮৬০।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত মামলার আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে, সূত্রে বর্ণিত মামলার সন্ধিগ্ধ পলাতক আসামি সোলাইমান ওরফে সলোমান এবং তার সহযোগী জামাল হোসেন ওরফে মানিক চট্টগ্রাম মহানগরীর চাঁন্দগাও থানা এলাকায় অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল  (১২ জুন ২০২৪) দুপুর১২টায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি সোলাইমান অরফে সলোমান (৫২), পিতা-মৃত সেকেন্দার, সাং-মধ্যম চর চান্দিয়, থানা-সোনাগাজী, জেলা- ফেনী এবং জামাল হোসেন ওরফে মানিক (৪১), পিতা-মৃত আব্দুল হালিম, সাং-গাংরা, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লাদের আটক করে। 

আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা বর্ণিত মামলার সাথে জড়িত পলাতক আসামি এবং মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল মর্মে স্বীকার করে।

উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ধৃত আসামি সোলাইমান ওরফে সলোমানের বিরুদ্ধে ফেনী এবং চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলার তথ্য এবং আসামি জামাল হোসেন ওরফে মানিকের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানায়  টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের শেষে তাদেরকে ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানার মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ  করা হয়েছে।