ইউএসএআইডি’র আর্থিক এবং দ্যা কার্টার সেন্টারের কারিগরী সহযোগিতায় এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডির আয়োজনে “বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি প্রকল্প” শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা পরিষদেও হলরুমে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ জনসচেতনতার লক্ষ্যে তথ্য অধিকার বুথ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় এ আয়োজন করা হয়।
প্রান্তিক নারীদের তথ্যের অধিকার নিশ্চিতে ও প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্বোধনী পর্বে তথ্য অধিকার বুথ ক্যাম্প কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা। বুথ ক্যাম্প কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে উপজেলার ৫ টি সরকারি প্রতিষ্ঠান সমাজসেবা অধিদপ্তর, যুব উন্নযন অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, বাকশিমইল ও মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদ তাদের কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের তথ্য প্রাপ্তির অনুরোধের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিক লিখিত তথ্য প্রদান করেন।
তথ্য সংগ্রহ বুথ ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং নারীদের তথ্যে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই আয়োজন করা হয়। প্রকল্প সমন্বয়কারী সুব্রত কুমার পালের সঞ্চালনায় মোহনপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহা. সঈদ আলী রেজা, বাকশিমইল ইউপি প্রশাসনিক কর্মকতা রাজিয়া পারভীন, মৌগাছি ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক, এবং দ্যা কার্টার সেন্টার তথ্যবন্ধু সাবরিনা নাজ বক্তব্য রাখেন।
আনুষ্ঠানিক পর্ব শেষে মৌগাছি ও বাকশিমইল ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্ধা বিশেষ করে প্রান্তিক নারীরা বিভিন্ন তথ্য চেয়ে আবেদন করেন এবং বিভিন্ন দফতরের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারেন। বুথ ক্যাম্প চলাকালে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী ৩১টি আবেদন জমা পড়ে এবং একই সময়ে ৩৫টি তথ্যের উত্তর পাওয়া যায়।
বক্তারা এ সময় বলেন, প্রান্তিক নারীদের অবস্থার ও জীবনমান উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য নিশ্চিতে তথ্য অধিকার আইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং সুশাসন নিশ্চিতে তথ্য অধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কর্মসূচির মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তিতে নারীদের অধিকতর সক্ষম করে তোলা, জাতীয় ও কর্ম এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহকে কার্যকর এবং শক্তিশালী করার পাশাপাশি তথ্যে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও ব্যবহারে নাগরিক সমাজ সংগঠন ও তথ্য অধিকার নেটওয়ার্ক সমূহকে শক্তিশালীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।