গরমকাল মানেই ফলের সমাহার। এই মরশুমে নানা ধরনের ফলের পশরায় সেজে ওঠে বাজার। তীব্র দহনজ্বালা থেকে বাঁচার উপায়ও রয়েছে এই ফলের নানা গুণের বৈশিষ্ট্যেই। কিন্তু আমরা অনেকেই অভিযোগ করি বেশিদিন তাজা থাকছে না ফলগুলি। কারণ আমরা ঠিকমতো রাখতে বা সংরক্ষণ করতে পারি না। অনেক ফলই ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়।
কিন্তু আমরা ভুলে রেফ্রিজারেটরে রেখে দিই সেগুলি। দেখে নিন কোন কোন ফল কোনওমতেই ফ্রিজেই রাখবেন না।
কলা: ফ্রিজে কলা রাখলে এর পরিপক্ব হয়ে ওঠার হার কমে যায়। দ্রুত কালো হয়ে যায় খোসা। স্বাদও হারিয়ে যায়। কলা কিনে আনলে সব সময় ফ্রিজের বাইরে রাখুন।
তরমুজ: গরমেও সব সময় তরমুজ রাখুন রুম টেম্পারেচারে। কারণ ফ্রিজে রাখলে এই ফলের অ্যান্টি অক্সিড্যান্টসের হার কমে যায়। কমে যায় পুষ্টিমূল্যও।
আম: ইথিলিন অক্সাইড গ্যাসের কারণে আমও ফ্রিজে রাখলে তাতে দ্রুত কালো ছোপ ধরে যায়। পেকেও যায় দ্রুত।
শশা: অতিরিক্ত ঠান্ডায় রাখলে শশা নষ্ট হয়ে যেতে পারে দ্রুত। তাই ৩ দিনের বেশি কখনওই ফ্রিজে রাখবেন না শশা।
পিচ: অতিরিক্ত সময় ফ্রিজে রাখলে পিচফল ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। কম যায় ফলের ফ্লেভারও।
টম্যাটো: সবজি হিসেবে মান্যতা পেলেও টম্যাটো আদতে ফল। ফ্রিজে রাখলে টম্যাটোও ফ্লেভার হারিয়ে স্বাদহীন হয়ে যেতে পারে। কাগজের ব্যাগে রুম টেম্পারেচারে রাখুন টম্যাটো। তাহলেই দ্রুত পাকবে।
এই ফলগুলি বাজার থেকে কিনে আনলে চেষ্টা করুন রুম টেম্পারেচারেই রাখতে। রেফ্রিজারেটরে রাখবেন না। তাহলে অনেক দিন তাজা থাকবে। ব্যবহারযোগ্যও থাকবে। তবে একটা জিনিস অবশ্যই মনে রাখবেন একমাত্র গোটা অবস্থাতেই রুম টেম্পারেচারে রাখবেন। একটুকরো কাটা হয়ে গেলেও ফ্রিজে রাখতেই হবে। কারণ খণ্ডিত অবস্থায় যে কোনও খাবারই অনেক বেশি পচনশীল হয়ে যায়।