পান্তা ভাত সঙ্গে শুকনো লঙ্কা পোড়া, কাঁচা পেঁয়াজ আর নুন গরমের দিনে অনেকের কাছেই এই খাবারটি ভীষণ প্রিয়। এই মরসুমে গরম ভাতের তুলনায় পান্তার উপকারিতা বেশি।
পুষ্টিবিদরা সে দাবি উড়িয়ে দিচ্ছেন না মোটেই। তাঁদেরও মতে, পান্তা ভাতের পুষ্টিগুণ অনেক। দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরা থাকে। সবচেয়ে বড় কথা, শরীর ঠান্ডা থাকে এই গরমে। পান্তার সঙ্গে ‘মজার’ ভর্তা না থাকলে ভোজটা যেন ঠিক জমে না! পান্তার সঙ্গে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু ভর্তা, রইল সহজ অথচ ভিন্ন স্বাদের কয়েকটি রেসিপি।
রসুনের ভর্তা: কড়াইয়ে অল্প সর্ষের তেল দিয়ে ১০০ গ্রাম রসুনের কোয়া ভাল করে ভেজে নিন। রসুন নরম হয়ে গেলে নামিয়ে রাখুন। এ বার কড়াইয়ে আরও সামান্য তেল দিয়ে ২-৩টি শুকনো লঙ্কা ভেজে তুলে রাখুন। এ বার সেই তেলেই কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি লাল করে ভেজে নিন। একটি বাটিতে নুন আর শুকনো লঙ্কা ভাল করে মেখে নিয়ে, তার সঙ্গে পেঁয়াজ, রসুন আর কাঁচা সর্ষের তেল, একটু লেবুর রস আর ধনেপাতা কুচি ভাল করে মেখে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে রসুনেন ভর্তা।
টম্যাটোর ভর্তা: পান্তার সঙ্গে জমে যাবে টোম্যাটোর ভর্তা। কড়াইয়ে অল্প সর্ষের তেল দিয়ে রসুন আর শুকনো লঙ্কা ভাল ভেজে তুলে রাখুন। এ ভার অল্প তেলে অর্ধেক করে কেটে রাখা টম্যাটোগুলি ভাল করে ভেজে নিন। অল্প অল্প পোড়া পোড়া হয়ে এলে টম্যাটোগুলি তুলে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। একটি থালায় নুন, শুকনো লঙ্কা, রসুন ভাল করে মেখে নিয়ে তার সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ, ধনেপাতা কুচি আর টম্যাটো দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। লেবু আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে টম্যাটোর ভর্তা পরিবেশন করুন পান্তার সঙ্গে।
চিংড়ি ভর্তা: চিংড়ির খোসাগুলি ভাল করে ছাড়িয়ে ধুয়ে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে চিংড়ি মাছগুলি ভেজে নিন। চিংড়িগুলি লাল লাল হয়ে এলে তেল ছেঁকে নিয়ে একটি অন্য পাত্রে তুলে ঠান্ডা করতে দিন। এ বার চিংড়ি মাছের সঙ্গে শুকনো লঙ্কা, পেঁয়াজ কুচি আর রসুনের কোয়া ভাজা মিশিয়ে শিল-নোড়ায় বা মিক্সিতে বেটে নিন। চিংড়ি মাছের এই মিশ্রণটি শুকনো কড়াইয়ে অল্প তেলে একটু নাড়াচাড়া করে তার সঙ্গে কাঁচালঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি আর লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে পান্তার সঙ্গে পরিবেশন করুন চিংড়ি মাছের ভর্তা।