আয়ুর্বেদ অনুসারে পলাশ ফুলকে স্বাস্থ্যের জন্য ওষুধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।পলাশ গাছের ফুল থেকে শুরু করে বীজ ও শিকড় পর্যন্ত ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।অনেক জায়গায় পলাশ ফুল তেসু ফুল নামেও পরিচিত।আয়ুর্বেদ অনুসারে, পলাশ ফুল চর্মরোগ থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস এবং পাইলস পর্যন্ত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক সমস্যায় উপকারী।এই কারণেই এটি আয়ুর্বেদে একটি শক্তিশালী ভেষজ হিসাবে বিবেচিত হয়।
আসুন জেনে নেই পলাশ ফুল কীভাবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
পেটের কৃমির জন্য - পলাশের বীজে কৃমিরোধী বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়,যার কারণে এটি পেটের কৃমি ধ্বংস করতে সাহায্য করে।পলাশ বীজের গুঁড়ো নিয়মিত খেলে পেটের যেকোনও ধরনের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।এর জন্য এক চামচ পলাশ বীজের গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খান।
ডায়াবেটিস - পলাশে অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়,যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।এটি ভালো কোলেস্টেরল আরও বেশি উন্নত করতে সাহায্য করে। NCBI (ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন) এর একটি সমীক্ষা অনুসারে যখন ২০০ মিলিগ্রাম পলাশ ল্যাবে দুই সপ্তাহ ধরে ইঁদুরের উপর ব্যবহার করা হয়েছিল,তখন তাদের চিনির মাত্রা এবং সিরাম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল।
পাইলসে উপশম দেয় - পাইলস বা অর্শ্বের কারণে মলদ্বারের ভিতরে বা বাইরে কিছু পিণ্ড তৈরি হয়।এই পিণ্ডগুলি কখনও কখনও রক্তপাতের পাশাপাশি ব্যথাও হয়।পলাশ ফুল এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।পলাশের শুকনো ফুলের গুঁড়োতে কিছু মিনারেল পাওয়া যায়,যা পাইলসের চিকিৎসায় উপকারী হতে পারে।
চর্মরোগ - পলাশে উপস্থিত অ্যাস্ট্রিনজেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।আয়ুর্বেদ অনুসারে,পলাশ বীজের পেস্ট ত্বকে লাগালে একজিমা এবং অন্যান্য ত্বকের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।পলাশ বীজের পেস্ট ত্বকে লাগালে ত্বকের চুলকানি এবং শুষ্কতার মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
উচ্চ রক্তচাপ - পলাশ পাতায় তিক্তের বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরে কফ ও পিত্ত কমায়।যার কারণে মেটাবলিজম উন্নত হয় এবং উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
