ডিম শিশুদের জন্য একটি সুপারফুডের চেয়ে কম নয়, এটি শিশুদের প্রোটিন, খনিজ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এত উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও, প্রতিটি পিতামাতার মনে প্রশ্নটি আসে যে তাদের সন্তানদের কখন এবং কতটি ডিম দেওয়া উচিৎ।
আসুন জেনে নিন এই প্রশ্নের উত্তর।
কোন বয়স থেকে আমাদের বাচ্চাদের ডিম খাওয়ানো উচিৎ?
ছয় মাস পর থেকে বাচ্চাদের ডিম খাওয়ানো শুরু করতে হবে। এই বয়স থেকে তাদের আরও পুষ্টির প্রয়োজন শুরু হয়। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও খনিজ উপাদান যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
প্রতিদিন কয়টি ডিম খাওয়াবেন?
আপনার শিশুর বয়স যখন ছয় মাস হবে, তখন আপনি তাকে ডিম খাওয়ানো শুরু করবেন, তবে মনে রাখবেন যে প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র অর্ধেক ডিম খাওয়ান। ধীরে ধীরে তাদের যে কোনও কিছুতে অভ্যস্ত করুন। এর সাথে কিছু জিনিস খাওয়ালে আপনি জানতে পারবেন আপনার শিশুর এতে অ্যালার্জি আছে কি না। ধীরে ধীরে, বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে আপনি তাকে অর্ধেক ডিমের পরিবর্তে পুরো ডিম দিতে পারেন। আপনার বাচ্চা যখন এক বছর বয়সে পরিণত হবে, আপনি তাকে প্রতিদিন একটি আস্ত ডিম খাওয়াতে পারেন। এটি শুধুমাত্র তার বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে না, শিশুর হাড়ও মজবুত করবে।
ডিমের উপকারিতা: ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়, যা শিশুর মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও এতে ভিটামিন এ, ডি, ই পাওয়া যায় যা শিশুদের হাড়ের পাশাপাশি চোখের মজবুত করে।
ডিমের কোন অংশ খাওয়াবেন?
আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে প্রথমবার ডিম দেন, তাহলে হলুদ অংশ দিয়ে শুরু করুন, তারপর ধীরে ধীরে যখন আপনার বাচ্চা ডিম পছন্দ করতে শুরু করবে, তখন পুরো ডিম খাওয়ানো শুরু করুন।
ডিম খাওয়ানোর সময় এই সাবধানতা অবলম্বন করুন
১. কিছু বাচ্চাদের ডিমে অ্যালার্জি হতে পারে, তাই প্রথমে তাদের সামান্য ডিম খাওয়ান। অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
২. বাচ্চাকে সবসময় তাজা ডিম খাওয়ান, অনেক দিন ধরে রাখা ডিম বা কোন খাবার বাচ্চাদের দেবেন না।
৩. এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে আপনি শিশুর জন্য একটি পুষ্টিকর খাবার তৈরি করতে পারেন।