দুনিয়াবি বিপদ-আপদ যেমন আল্লাহর শাস্তি হিসেবে আসে, পরীক্ষা হিসেবেও আসে। মুমিন ব্যক্তিদের দুনিয়াতে ভয়, ক্ষুধা, জীবন ও সম্পদের ক্ষতির মাধ্যমে পরীক্ষা করার ঘোষণা দিয়ে কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, তোমাদেরকে ভয়, ক্ষুধা, ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি (এসবের) কোনকিছুর দ্বারা নিশ্চয়ই পরীক্ষা করব, ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ প্রদান কর। (সুরা বাকারা: ১৫৫)
কিছু হাদিস থেকে বোঝা যায় দুনিয়াবি বিপদে জর্জরিত হওয়া অনেক ক্ষেত্রে আল্লাহর নেক বান্দা হওয়ার আলামতও হতে পারে। দুনিয়াবি বিপদে ফেলে আল্লাহ তাআলা তাদের গুনাহ মাফ করেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে বিপদগ্রস্ত করেন। (সহিহ বুখারি: ৫৬৪৫)
মুসআব ইবন সাদ তার বাবা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি নবিজিকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল, দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি মসিবতের সম্মুখীন করা হয়? তিনি বললেন, নবিগণ, এরপর যারা ভাল মানুষ তারা, এরপর যারা ভাল তারা। একজন তার দীনদারীর অনুপাতে পরীক্ষায় নিপতিত হয়। যদি সে তার দীনে মজবুত হয় তবে তার পরীক্ষাও তুলনামূলকভাবে কঠোরতর হয়; আর সে যদি দীনের ক্ষেত্রে দুর্বল ও হালকা হয় তবে সে তার দীনদারির অনুপাতেই পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। এভাবে বান্দা বিপদ-আপদে পড়তে থাকে শেষ পর্যন্ত সে পৃথিবীতে এমন মুক্তভাবে বিচরণ করতে থাকে যে তার ওপর আর কোন গুনাহর দায় থাকে না। (সুনানে তিরমিজি: ২৩৯৮, সুনানে ইবনে মাজা: ৪০২৩)