১৭ মে ২০২৪, শুক্রবার, ০৬:৫৩:৩৯ পূর্বাহ্ন


টেকনাফে সাবের হত্যা মামলার ৬জন আসামী গ্রেফতার
স্টাফ রিপোটার:
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৪-২০২৪
টেকনাফে সাবের হত্যা মামলার ৬জন আসামী গ্রেফতার টেকনাফে সাবের হত্যা মামলার ৬জন আসামী গ্রেফতার


সম্প্রতি টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে নৃশংসভাবে পিটিয়ে চাঞ্চল্যকর সাবের (৩৭) হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি মোঃ ইয়াছিন (৩৫)সহ মোট ৬জন আসামিকে রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩ এবং র‍্যাব-১৫ এর সদস্যরা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল ৬টায় রাজধানীর পল্টন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: মোঃ ইয়াছিন (৩৫), সে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার জালিয়াপাড়া এলাকার নূর হোছনের ছেলে, এই জেলা, থানা ও এলাকার আব্দুল্লার ছেলে মোঃ সালমান (২৭), আবু তাহেরের ছেলে  আব্দুল্লাহ (৪৩), মৃত শমসুর ছেলে  সোহাগ (৩২), আবু তাহেরের ছেলে বাবলু (২৮) ও আবু তাহেরের ছেলে আব্দুল জব্বার (৩১)।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) র‌্যাব-৩, এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেদ এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

র‌্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে জানা যায় , নিহত সাবের টেকনাফ থানাধীন বার্মিজ মার্কেটে জুতার ব্যবসা করতো। তার দোকানের সামনে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি ইয়াছিনের একটি বন্ধ দোকান রয়েছে।  ইয়াছিন পূর্বশত্রুতার জেরে সাবেরের ব্যবসা শুরুর পর হতেই তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে অহেতুক হয়রানি এবং বেচা-বিক্রিতে ক্ষতিসাধন করতো। ওই বিষয়ে নিহত সাবের মার্কেটের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের জানালে আসামী ইয়াছিন ও অন্যান্য আসামিরা সাবেরকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত (২ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় নিহত সাবের নিজ দোকানের জায়গা সংকটের কারণে গ্রেফতারকৃত ইয়াছিনের বন্ধ থাকা দোকানটির সামনে একটি জুতার বস্তাসহ কয়েক জোড়া জুতা ঝুলিয়ে রাখে। এ নিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী ইয়াছিন তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করে। সাবের প্রতিবাদ করায় তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত ইয়াছিন, সালমান, আব্দুল্লাহ, সোহাগ, বাবলু, জব্বার এবং পলাতক আসামি নুর হোছন, এমরান ও কেফায়েতসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন মিলে ধারালো টিপ চাকু, রামদা, হাতুড়ি ও লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাবেরকে দোকান থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে  এলোপাথাড়িভাবে আঘাত করে। ফলে সাবের অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে মার্কেটের লোকজন এবং ভিকটিমের ভাই ঘটনাস্থলে এসে হাজির হলে সকল আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে আহত সাবেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।  গত (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবের মারা যায়।

 এ ঘটনায় নিহতের ভাই সাদেক বাদী হয়ে (১৩ এপ্রিল) টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। মামলাটি রুজু হওয়ার পরপরই আসামিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে নিজ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। ওই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করলে গত (২৯ এপ্রিল) র‌্যাব-৩ এবং র‌্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর পল্টন এলাকা হতে হত্যা মামলার ৬ জন পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র‌্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যপারে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে তাদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।