যেখানে সেখানে যখন তখন সেলফি তোলায় ব্যস্ত এক শ্রেণীর মানুষ। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে কাজটি করে থাকে তারা।আর এরজন্য কখনো কখনো ঘটে দুর্ঘটনাও। তবুও বিরতি নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেলফি নিয়ে ঘটছে মজার মজার কিছু ঘটনা।আর তাই সেলফি তোলাকে একধরনের মানসিক রোগ বলেছেন একদল গবেষক।
যে কোনো সময়, যেকোনো জায়গায়, বিভিন্ন উপলক্ষে সেলফি তোলাটা এখন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।কিন্তু আসলে তা নয়। একধরনের অবসেসিভ ডিজঅর্ডারের কারণেই এ সেলফি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। আর তা এমন পর্যায়ে পৌছাচ্ছে যে, বিপজ্জনক সেলফি তোলা থেকেও বিরত থাকছে না তারা।
জানা যায়, সেলফি তোলা যে একরকমের রোগ তা অনস্বীকার্য। নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং তামিলনাড়ুর থিয়াগারাজার স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের গবেষকরা যৌথভাবে এ বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন।স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ভারতকে। এর কারণ হল এদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও এদেশই এগিয়ে। এরফলে এদেশের জনসংখ্যার উপর সমীক্ষা চালানো হয়।
বিজ্ঞানীদের মতে,এই রোগের নাম সেলফাইটিস। তার বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে।বিজ্ঞানীরা বলেন,দিনে যারা তিনটি সেলফি তোলেন এবং প্রত্যেকটিই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন,তারা অ্যাকিউট সেলফাইটিসে আক্রান্ত। আর ঘন্টায় ঘন্টায় যদি কেউ সেলফি তোলেন,আর তা পোস্ট করতে থাকেন,তবে তিনি ক্রনিক সেলফাইটিসে আক্রান্ত। সেক্ষেত্রে এ ধরনের রোগীরা দিনে অন্তত ছয়টি করে সেলফি তোলেন।