মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বাজারে অনেক দামী বিউটি প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। এগুলোর বেশির ভাগই রাসায়নিকযুক্ত এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং তার উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে।
শুধু তাই নয়, ত্বকে অকালে বলিরেখার ঘটনাও দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে মুখের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করা জরুরি। কিছু ঘরোয়া প্রতিকার মুখের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।
প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ফেস মাস্ক শুধুমাত্র ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে না, অল্প সময়ের মধ্যে ত্বকের পুরনো আভাও ফিরিয়ে আনে। আসুন জেনে নেই ৩টি ঘরোয়া পদ্ধতি যার সাহায্যে একটি ফেস মাস্ক তৈরি করা যায়, যা ত্বককে সুস্থ রাখবে।
মধু এবং স্ট্রবেরি- মধু এবং স্ট্রবেরি উভয়েরই অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শুধু ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় না, মৃত কোষও দূর করে। স্ট্রবেরিতে রয়েছে স্যালিসিলিক অ্যাসিড, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
মধু-স্ট্রবেরি মাস্ক তৈরি করতে, একটি পাত্রে স্ট্রবেরি ম্যাশ করুন। এর মধ্যে এক চামচ মধু এবং এক চামচ কোকো পাউডার মেশান। এই ফেসমাস্কটি আপনার মুখে ১০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন এবং তারপরে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কলা, মধু এবং হলুদ - কলা, মধু এবং হলুদ দিয়ে তৈরি ফেস মাস্ক মুখের উজ্জ্বলতা এবং ত্বক নরম করতে খুবই কার্যকরী। এই প্রাকৃতিক মাস্কটি শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই কার্যকর। কলায় ভিটামিন এ, বি এবং সি পাওয়া যায়, যা ত্বককে হাইড্রেট করতে কাজ করে।
হলুদ এবং মধুতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই ফেস মাস্ক মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
কমলা ও মধু- কমলা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও পাওয়া যায়। কমলা মুখের তেল কমাতে সাহায্য করে। কমলা-মধুর মাস্ক তৈরি করতে, একটি পাত্রে দুই চামচ কমলার রস রাখুন এবং তাতে এক-চতুর্থাংশ মধু যোগ করুন।
এই মিশ্রণে সমপরিমাণ দই ও হলুদ মিশিয়ে নিন। এবার এই প্রাকৃতিক ফেস মাস্কটি মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখুন, তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখের ত্বক হয়ে উঠবে কোমল ও চকচকে।