অনেক সময় কিছু মানুষ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্ত বোধ করেন। এটি অলসতা, শিথিলতা, সারাদিন কম সক্রিয় থাকা, কম উত্পাদনশীলতা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ সারাদিন উদ্যমী থাকার জন্য সকালের স্বাস্থ্যকর জলখাবার খান। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞরা সকালে স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিসমৃদ্ধ ব্রেকফাস্ট করার পরামর্শও দেন। কিন্তু অনেক সময় প্রাতঃরাশ করার পরও, কিছু সময় পরে কেউ কেউ ক্লান্ত এবং অলস বোধ করতে শুরু করেন। এই ধরনের সমস্যার কারণে তাদের এনার্জি কমে যায়, যার কারণে মানুষ অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে। শীতকালে সূর্যের আলো না থাকায় এই সমস্যা বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে শক্তি বৃদ্ধিকারী খাবার খাওয়া জরুরি। আসুন জেনে নেই-
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার - ডায়েটিশিয়ান শীতল গিরি বলেন,শরীরে এনার্জির জন্য প্রোটিনের খুব প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে সকালের খাবারে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এর জন্য আপনি পনির, সয়াবিন, অঙ্কুরিত দানা এবং ছোলা ইত্যাদি খেতে পারেন।
কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের ভারসাম্য - স্থূলতা এড়াতে কম চর্বি এবং কম কার্বোহাইড্রেট খাওয়া উচিত্। তবে আপনি যদি এই কারণে জিরো কার্ব বা জিরো ফ্যাটযুক্ত খাবার গ্রহণ করেন তবে এটি ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। আপনার সকালের খাবারে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।সকালের খাবারে শাক-সবজি, আখরোট,দেশি ঘি,অ্যাভোকাডো এবং দই দিয়ে তৈরি পরোটার মতো জিনিস খান।
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার - ভিটামিন সি আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়ায় না,হাড়,চোখ ও ত্বককেও সুস্থ করে তোলে।শরীরের কোষ মেরামত করতে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে পারেন।এর জন্য আমলকি, লেবু,কমলা ও সবুজ শাক-সবজি খান।
জল পান করুন - ডায়েটিশিয়ানদের মতে,সারাদিনে ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন।এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে যা ক্লান্তি কমায়।এছাড়া জল পান করলে এনার্জিও পাওয়া যায়।পানীয় জলের পাশাপাশি রসালো ফল এবং শাক-সবজি খান,ডাবের জল পান করুন এবং দিনে একবার বাটারমিল্ক পান করুন।
বাদাম এবং বীজ - পেশী এবং হাড় মজবুত করতে শুকনো ফল,বাদাম এবং স্বাস্থ্যকর বীজ খান।এগুলো থেকে আপনি ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম,প্রোটিন এবং আয়রন পাবেন।কুমড়োর বীজ, চিয়া বীজ,বাদাম,আখরোট,ডুমুর এবং খেজুর খান।