তীব্র মাথা ব্যাথা। অনেক সময় ব্যাথায় চোখ দিয়ে জল পড়ে। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে প্ল্যান করেছেন ঘুরতে বেরোবেন, কিংবা খুব গুরত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে বসেছেন বা প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে চান। কিন্তু বাঁধ সাধছে এই মাইগ্রেনের ব্যথা।
এই রকম সমস্যা আপনার একার নয় আপনার আশেপাশে অনেকই ভুগছেন এই রোগে।
এই অসহ্য মাথা যন্ত্রণা থেকে অনেকেরই বমি ভাব দেখা দেয়। তবে আপনি জানেন কি এই মারাত্মক সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়? ঘুম, শুধুমাত্র পর্যাপ্ত ঘুমেই সারবে মাইগ্রেনের সমস্যা, এমনটাই দাবি গবেষকদের।
সম্প্রতি একদল আমেরিকান গবেষকের সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল 'নিউরোলজি'-তে। সেই রিসার্চের মূল বিষয়ই ছিল মাইগ্রেন। গবেষকদের মতে, মাইগ্রেনের অন্যতম সমাধান হতে পারে একমাত্র ঘুম। হ্যাঁ, আপনি হয়তো ভাবছেন আপনি তো ঠিকই ঘুমান তাও কেন মুক্তি মেলে না এই সমস্যা থেকে।
তবে গবেষণা বলছে, মাইগ্রেন আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশেরই ঘুম হয় না পর্যাপ্ত। শুধু বিছানায় শুয়ে থাকালেই কিন্তু ঘুম হয় না, অন্তত আট ঘণ্টা টানা ঘুমই দিতে পারে মাইগ্রেনের এই সমস্যা থেকে মুক্তি এমনটাই মত মার্কিন গবেষকদের। এই গবেষণার জন্য অন্তত ৯৮ জন প্রাপ্তবয়স্ককে নিয়ে একটি সমীক্ষাও চালিয়েছিলেন গবেষক দল। আর এর থেকেই মিলেছে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ফলাফল।
এই ৯৮ জনের মধ্যে বেশির ভাগেরই জীবনে দেখা গিয়েছে ঘুমের অভাব আর সেই জন্যই তাদের নাজেহাল করে ছেড়েছে মাইগ্রেন। আর মাইগ্রেনের কামড় যে কতটা ক্ষতিকর, সেটা বলার দরকার পরে না। কাজেই, এবার চেষ্টা করুন নিশ্চিন্তে ঘুমানোর আর দূরে রাখুন মাইগ্রেন নামের সমস্যাকে।