রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে কিডনির রোগ, হার্ট অ্যাটাক,প্রোস্টেট ক্যান্সার,বাত,জয়েন্টের ব্যথাসহ নানা রোগ হয়।ধনেপাতার রস বানিয়ে পান করলে ইউরিক অ্যাসিড ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসবে।
ধনেপাতাকে কোথমীরও বলা হয়।এর রস বানিয়ে পান করলে ইউরিক অ্যাসিড ধীরে ধীরে কমে যাবে।সবুজ ধনেপাতা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং এটি একটি মূত্রবর্ধক হিসাবে কাজ করে।এটি এবং এর রস প্রচুর পরিমাণে খেলে ও পান করলে ইউরিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
ধনেপাতার রস কীভাবে তৈরি করবেন- দশ টাকা মূল্যের ধনেপাতা নিন।কুচি করুন।সব পাতা ভালো করে ধুয়ে মিক্সারে দিয়ে দিন।এছাড়াও উপরে এক গ্লাস জল যোগ করুন।স্বাদ বাড়াতে কিছু কালো লবণ,জিরা এবং পুদিনা যোগ করুন।অর্ধেক লেবুর রস চিপে নিন।এবার এই সব পিষে নিন।ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে পান করুন।আপনার যদি মিক্সার গ্রাইন্ডার না থাকে তবে আপনি পাতাগুলি জলে সেদ্ধ করতে পারেন।এরপর জল ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে নিয়ে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
ধনেপাতার অন্যান্য উপকারিতা- ভিটামিন এ এবং সি ধনেপাতায় পাওয়া যায়,যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।গ্রীষ্ম হোক বা শীত,সব সময় এটি ব্যবহার করলে শরীরের নানাভাবে উপকার হয়।
আপনি যদি আপনার হজম শক্তিকে শক্তিশালী রাখতে চান তবে আপনার এটি নিয়মিত পান করা উচিত্।এতে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।ধনেপাতা খেলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং বদহজম,পেট ব্যথা এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।শীতকালে খাবারের পরিমাণ বাড়ালে ডায়রিয়ার সমস্যা বাড়ে।এমন পরিস্থিতিতে ধনেপাতার চাটনি এবং স্যালাড পেটে আরাম দেয়।
এটি নিয়মিত খাওয়া সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয়।ধনেপাতাতে উপস্থিত উপাদান শরীরের কোলেস্টেরল কমায় এবং নিয়ন্ত্রণে রাখে।এটি রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
মহিলাদের মাসিকের সমস্যা দূর করে ধনেপাতা।পিরিয়ড স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে আধা লিটার জলে প্রায় ৬ গ্রাম ধনে বীজ মিশিয়ে সেদ্ধ করুন।এই জলে চিনি মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যাবে।
এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ,ভিটামিন সি,ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে,যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।