সস্তায় অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাদ্য ডিম। মাছ-মাংসের পুষ্টিগুণের সঙ্গেও সমান তালে পাল্লা দিতে পারে এই খাদ্য। ওজন কমানো থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো - ডিমের জুড়ি মেলা ভার। শরীরের অন্দরে অনেক সমস্যারও নিমেষে সমাধান করে। প্রায় সব বাড়িতে প্রতি দিনই কম-বেশি প্রয়োজন পড়ে ডিমের।
তবে ডিম নিয়ে প্রায়ই যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় তা হল - সাদা না কি বাদামী খোলার ডিম, কোনটা ভাল? কোনটা খাওয়া বেশি উপকারী?
অনেকেরই ভাবনা বাদামী ডিমে পুষ্টিগুণ বেশি, কেউ বা ভাবেন সাদা ডিমে। কিন্তু এমন ধারণা কি আদৌ ঠিক? চলুন জেনে নেওয়া যাক এ ব্যাপারে বিস্তারিত।
রঙের পার্থক্য হওয়ার কারণ কী?
ডিমের খোসার রং সাদা হবে না বাদামি, তা নির্ভর করে মুরগির প্রজাতির উপর। এ ছাড়া, মুরগির ডায়েট, স্ট্রেস লেভেল এবং পরিবেশগত কারণেও ডিমের খোসার রং পরিবর্তন হতে পারে।
পুষ্টির কোনও পার্থক্য থাকে কি?
ডিম বাদামী হোক বা সাদা, তার মধ্যে পুষ্টিগুণ কম-বেশি একই রকম থাকে। এই দুই ধরনের ডিমের মধ্যে পুষ্টির তেমন কোনও পার্থক্য নেই। প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, রাইবোফ্ল্যাভিন, সেলেনিয়াম এবং কোলিনের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে দুই ধরনের ডিমেই। তাই সাদা এবং বাদামী উভয় ডিমই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।
তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাদামি বা লালচে রঙের ডিমে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড একটু বেশি রয়েছে। কিন্তু এই পরিমাণ এতই অল্প যে তাতে খুব একটা ফারাক পড়ে না।
গবেষণা কী বলছে?
সাদা এবং বাদামী ডিমের মধ্যে কোন পুষ্টিগত পার্থক্য আছে কিনা তা জানার জন্য বেশ কিছু গবেষণাও করা হয়েছে। দেখা গেছে, খোসার রঙ ডিমের গুণমান বা পুষ্টির উপর কোন প্রভাব ফেলে না। যে পার্থক্যটি মূলত পাওয়া যায় তা হল ডিমের খোসার রঙ্গক।