জলপাই আমাদের দেশের একটি সুপরিচিত ফল। কাঁচা জলপাই বেশ পুষ্টিকর, প্রচুর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। কাঁচা জলপাই রান্না করে ও আচার তৈরি করে খাওয়া যায়। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই ফলটি পাওয়া যায়।
প্রতিদিন জলপাই খাওয়ার অভ্যাস করলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
কারণ জলপাইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, ক্যালরি, শর্করা, ক্যালসিয়ামের মতো একাধিক উপাদান। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন এই ফলটি। তাহলে আসুন জেনে নেই জলপাইয়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-
> নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরস ঠিকভাবে কাজ করে। পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
> যখন মানুষের হৃদপিণ্ডের রক্তনালিতে চর্বি জমে, তখন হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। জলপাইয়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্ট ব্লক হতে বাধা দেয়। এতে রয়েছে মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী।
> কালো জলপাই ভিটামিনের ভালো উত্স। জলপাইতে আছে মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট। জলপাইয়ের ভিটামিন ই কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাধা দেয়। ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে।
> কালো জলপাইয়ের তেলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড ও এ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা কিনা ত্বক ও চুলের যত্নে কাজ করে। জলপাইয়ের তেল চুলের গোঁড়ায় লাগালে চুলের গোঁড়া মজবুত হয়। এতে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দূর হয়। জলপাইয়ের ভিটামিন ই ত্বকে মসৃনতা আনে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তাও রোধ করে জলপাই।
> জলপাই অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে কার্যকরী ভুমিকা রাখে।
> বয়সের কারণে অনেকেরই হাড়ের ক্ষয় হয়। হাড়ের ক্ষয়রোধ করে জলপাই তেল খুবই উপকারী।
> নিয়মিত জলপাই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। খাবার পরিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে জলপাই। শুধু তাই নয়, গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই। জলপাইয়ের তেলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। যা বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে।
> জলপাইয়ে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। ভিটামিন এ চোখের জন্য ভালো। যাদের চোখ আলো ও অন্ধকারে সংবেদনশীল তাদের জন্য ওষুধের কাজ করে জলপাই। এছাড়াও জীবাণুর আক্রমণ, চোখ ওঠা, চোখের পাতায় ইনফেকশনজনিত সমস্যাগুলো দূর করে এই জলপাই।
> যখন জলপাইয়ের মোনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট অন্য খাবারে বিদ্যমান স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে গ্রহণ করা হয় তখন তা দেহের ভেতরের ফ্যাট সেলকে ভাঙতে সাহায্য করে। জলপাইয়ের তেলেও রয়েছে লো কোলেস্টেরল যা ওজন এবং ব্লাডপ্রেশার কমাতে সহায়ক।