১৮ মে ২০২৪, শনিবার, ০৭:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন


প্রেমিকের মারপিটে আহত প্রেমিকা
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৯-২০২৩
প্রেমিকের মারপিটে আহত প্রেমিকা অভিযুক্ত প্রেমিক রেজওয়ান। ছবি: সংগৃহীত


প্রেমিককে অর্থ দিয়েছেন। দিয়েছেন সম্ভ্রম। প্রেমিকের দেওয়া বিয়ের আশ্বাসে স্বামীকে তালাকও দিয়েছেন। অথচ সেই প্রেমিক রেজওয়ান রেজোর হাতেই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ (৩৫)।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করলে মারপিটের শিকার হন তিনি।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর দিয়ারপাড়া গ্রামে প্রেমিক রেজওয়ান রেজোর বাড়ি। রোববার সকালে সেখানেই অবস্থান করেন প্রতারণার শিকার গৃহবধূ। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় জানান, এ বিষয়ে ওই গৃহবধূ তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রেজওয়ান রেজো নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি জানার পর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সহায়তায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়েছে।

গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার লিপি বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে প্রেমিক রেজওয়ান রেজোর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে ওই নারীকে।

মারপিটের শিকার ওই নারী অভিযোগ করেন, শ্রীপুরের এবাদ আলীর ছেলে রেজোর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। টানা প্রায় দুই বছর প্রেম করেছেন তারা। সে সময় বিয়ের আশ্বাস দিয়েছেন প্রেমিক। সেই প্রলোভনে প্রেমিক রেজোকে অর্থ দিয়েছেন, দিয়েছেন সম্ভ্রম। প্রথমপক্ষে এক সন্তান থাকা সত্ত্বেও স্বামীকে তালাক দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বিয়ের কথা বললেও গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না রেজো। বাধ্য হয়ে রোববার সকালে তিনি প্রেমিক রেজোর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ক্ষীপ্ত হয়ে রেজো এবং রেজোর স্ত্রী তাকে বেধড়ক পিটিয়েছেন। তিনি প্রতারক রেজোর বিচার দাবি করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে প্রেমিক রেজওয়ান রেজো বলেন, মাঝে মাঝে ওই নারীর সঙ্গে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। একপর্যায়ে ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এর বাইরে ওই নারীর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. মোনোয়ারুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে।