মাছ চাষ করেই বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন। পেয়েছেন জাতীয় পুরষ্কার। বেড়েছে সামাজিক মর্যাদা। এই মাছ চাষের টাকা দিয়ে যায়গা-জমি, বাড়ি, গাড়ি, ছেলে-মেয়ের উচ্চ শিক্ষা সব কিছুই হয়েছে। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে এলাকার বেকার যুবকদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করিয়েও স্বাবলম্বী হতে সহযোগীতা করেছেন তিনি। দান খয়রাত করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এজন্য জনসেবা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও করেছেন। সামান্য ভোটে পরাজিত হয়েছেন। এ সব কিছুই হয়েছে মাছ চাষের টাকায়। বলছিলাম নাটোর জেলার লালপুর
উপজেলার কলসনগর গ্রামের সফল মৎস্য চাষী কাজী আব্দুস সামাদের কথা। যিনি মৎস্য চাষ করেই ব্যপক সফলতা অর্জন করেছেন। এখন মাছ চাষের পাশাপাশি মুরগীর খামারও করেছেন। মৎস্য চাষী কাজী আব্দুস সামাদ বলেন, মাছ চাষই আমার ভাগ্য বদলে দিয়েছে। অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় যুব পুরষ্কারের পাশাপাশি অসংখ্য পুরষ্কার অর্জন করেছি। আর্থিকভাবে অসংখ্য মানুষকে সহযোগীতা করেছি। চাকরি বা অন্য কিছু করলে সেটা কখনোই সম্ভব হতো না। বর্তমানে আমি ৬ টি পুকুরে মাছ চাষ করছি। সেখানে বিভিন্ন কার্প জাতীয় মাছ, তেলাপিয়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করি। আমি মূলত আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করি। এলাকার মাছ চাষ বৃদ্ধির জন্য মৎস্য সমিতি করেছি, বেকার যুবকদের জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেছি। এখন তাদের অনেকেই আমার মতো স্বাবলম্বী হয়েছে।