নাটোরের গুরুদাসপুরে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ভ্যানচালকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রতিবেশীর নাম জাহিদুল খাঁ (৫৮) । তিনি পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পারিবারিক কলহের জেরে শিশুটির বাবা-মায়ের সংসার ভেঙে গেলে তার থাকার জায়গা হয় চাচা-চাচির কাছে। একদিন শিশুটিকে প্রতিবেশী দাদা জাহিদুল খাঁ তার ভ্যানে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি। ঘটনার সাত মাস পর শিশুটির শারীরিক পরিবর্তন হলে বিষয়টি চাচির নজরে আসে। তিনি স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে গর্ভে সন্তান থাকার বিষয়টি জানতে পারেন। পরে শিশুটি সব খুলে বলে।
এ ঘটনায় শিশুটির দাদি বাদী হয়ে চলতি বছরের ১৮ জুন গুরুদাসপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। অভিযুক্ত জাহিদুল খাঁ গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাড়িবাড়ি গ্রামের কালু খাঁর ছেলে।
শিশুটির চাচি জানান, ঘটনার সাত মাস পর শিশুটির দৈহিক পরিবর্তন দেখা দেয়। পরে তার প্রসাব পরীক্ষার পরে প্রাথমিকভাবে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানতে পারি। এরপর স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করলে চিকিৎসক গর্ভে সন্তান থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এখন প্রসবের সময় এগিয়ে আসায় শিশুটি ভীত হয়ে পড়েছে।
গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান জানান, মামলার পর থেকে আসামিকে ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ। কিন্তু আসামি ফোন ব্যবহার না করায় তার অবস্থান নিশ্চিত করতে সমস্যা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবনী রায় জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি জানার পর থেকে আমরা নিয়মিত শিশুটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। বিভিন্ন সময় শিশুটির জন্য খাবার পাঠিয়েছি। তার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বলা হয়েছে, যাতে বিনামূল্যে তার সিজার করা হয়।