২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:৫০:০৭ অপরাহ্ন


১২ টাকার ডিম ২০ টাকায় খাওয়ানোর হুঁশিয়ারি
অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৮-২০২৩
১২ টাকার ডিম ২০ টাকায় খাওয়ানোর হুঁশিয়ারি ফাইল ফটো


আমদানি করলে ১২ টাকার ডিম ২০ টাকায় খেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ারুল হক।বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ইআরএফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘পোল্ট্রি শিল্পে সংকট, প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা ও ডিম-মুরগির উৎপাদন খরচ হ্রাসে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায়  তিনি এ ক হুঁশিয়ারি দেন।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা।

অনুষ্ঠানে  বিএবি ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, আমদানি করে ডিমের দাম কমাতে চাইলে উল্টো আরো দাম বাড়বে। তখন ১২ টাকার ডিম ২০ টাকায় খেতে হবে।

হঠাৎ করে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার পেছনে কোনো সিন্ডিকেট নেই বলে দাবি করেন বিএবি নেতারা।

তারা বলেন, মুরগির ফিডের দাম না কমালে ডিমের উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব না। এজন্য ফিডের আমদানি মূল্য কমানোর দাবি জানাই।

‘সিন্ডিকেটের খপ্পরে ডিম-মুরগির বাজার’- বক্তব্যটিকে অপপ্রচার বলে দাবি করেন বিএবি’র সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, লেয়ার মুরগির চাহিদা ১১ লাখ থেকে কমে হয়েছে সাড়ে ৯ লাখ। ডিম-মুরগির বাজারে সিন্ডিকেট! এমন অপপ্রচার ছড়ানোর কারণে বিভ্রান্তি দিন দিন আরও ঘনীভূত হয়েছে। তাছাড়া ‘প্রান্তিক খামারি’ বনাম ‘করপোরেট খামারি’র বিতর্ক সৃষ্টির মাধ্যমেও দেশীয় খামারি ও উদ্যোক্তাদের অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর অপচেষ্টা হচ্ছে।

ডিম-মুরগি আমদানি করা হলে তা দেশেরই ক্ষতি করবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একদিন বয়সী ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার সাপ্তাহিক চাহিদা ছিল প্রায় ১ কোটি ৭০-৮০ লাখ, বর্তমানে তা ১ কোটি ৩০ লাখে নেমে এসেছে।

কর্মশালায় ফিড উৎপাদনকারীদের সংগঠন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (এফআইএবি), মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারীদের সংগঠন- ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি), প্রান্তিক খামারি ও উদ্যোক্তাদের সংগঠন- বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিআইএ), ওষুধ ও ভ্যাকসিন সরবরাহকারীদের সংগঠন- এনিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব), ভুট্টা, সয়াবিনসহ ইনপুট সাপ্লায়ারদের সংগঠন- বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফিটা) এবং বিজ্ঞানী, স্পেশালিস্ট, রিসার্চার ও একাডেমিশিয়ানদের সংগঠন- ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন- বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) নেতারা উপস্থিত ছিলেন।