১৭তম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নাটোরের কাঁচাগোল্লা। বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরে নাটোর জেলা প্রশাসকের নামে কাঁচাগোল্লার জিআই স্বীকৃতি অনুমোদন দেয়া হয়।
জিআই সনদ বৃহস্পতিবার (১০ াাগস্ট) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ভৌগলিক নির্দেশক নিবন্ধন স্মারকে ১৭ নম্বরে ‘নাটোরের কাঁচাগোল্লা’ উল্লেখ করা হয়। এ খবর প্রকাশ হওয়ার পরে নাটোরে সর্স্তরের মানুষ সাধুবাদ জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে দেখা যায় কাঁচাগোল্লার জিআই তালিকাভুক্তির খবর।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীউর রহমান পিপলু বলেন, ঐতিহ্যের স্বাক্ষী নাটোরের কাঁচাগোল্লা, ভৌগলিক নির্দেশক নিবন্ধন পাওয়ায় নাটোরবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হলো।
জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভূঁইয়া জানান, ‘কাঁচাগোল্লাকে নাটোরের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে নিবন্ধনের উদ্যোগ নেয়া হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এরই অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নিবন্ধনের আবেদন করা হয়েছিল। এ ছাড়া এফিডেভিটের মাধ্যমে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বরাবর আবেদন পাঠানো হয়েছিল। এই কাজে সহায়তা করেছে নাটোরের ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার।’ জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি হওয়ায় আমরা আনন্দিত, একইসাথে নাটোরবাসীর জন্য গর্বের।
চার পুরুষ ধরে মিষ্টি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নাটোরের ঐতিহ্যবাহী জয় কালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। জিআই স্বীকৃতির ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এই দোকানের বর্তমান স্বত্বাধিকারী প্রভাত কুমার পাল বলেন, জিআই আবেদন অনেক আগেই করা দরকার ছিল। কেননা বিভিন্ন রকমের মানহীন মিষ্টি কাঁচাগোল্লা নামে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়। এখন জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বিকৃত আকারে উৎপাদন বন্ধ হবে। দেশের মানুষ আসল কাঁচাগোল্লা চিনে কিনতে পারবে।
নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, এটি অত্যন্ত আনন্দের খবর। বর্তমান সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী সব দিকে খবর রাখেন। তারই নির্দেশনায় ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে সারা দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক পণ্য জিআই তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নেয়া হয়। নাটোরের কাঁচাগোল্লা জিআই পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করায় আমরা নাটোরবাসী গর্বিত।