২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৯:৩৬:২৫ অপরাহ্ন


আবার সেই অগ্নিসন্ত্রাস : বাসচালক সানাউল্লাহর চাঞ্চল্যকর বক্তব্য
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৭-২০২৩
আবার সেই অগ্নিসন্ত্রাস : বাসচালক সানাউল্লাহর চাঞ্চল্যকর বক্তব্য আবার সেই অগ্নিসন্ত্রাস : বাসচালক সানাউল্লাহর চাঞ্চল্যকর বক্তব্য


যা আশঙ্কা করা হয়েছিল, অবশেষে তাই ঘটেছে। আমি বেশ কিছুদিন থেকে কনসিসটেন্টলি বলে যাচ্ছি, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার রুশ-চীন ক্যাম্পে চলে গেছে। ভ‚রাজনীতিতে রাশিয়া ও চীন সরাসরি আওয়ামী লীগ সরকার এবং তার প্রধান শেখ হাসিনার পক্ষ অবলম্বন করেছে। পরবর্তীতে এই ক্যাম্পে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের গেটওয়ে বলে পরিচিত তেল সমৃদ্ধ ইরান। এই তিন দেশ মিলে একটি অলিখিত জোট আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় ধরে রাখতে চায়। এখানে এবার ভারতের ভ‚মিকা অনেকের কাছেই বিভ্রান্তিকর, অনেকের কাছে রহস্যময়। আমার কাছে ভারতের ভ‚মিকা নিয়ে রহস্য বা বিভ্রান্তির কিছুই নাই। তবে ভারতের ভ‚মিকা আজকে আমার লেখার প্রধান উপজীব্য নয়। আমার আজকের লেখার সেন্ট্রাল পয়েন্ট হলো বিরোধী দলের আন্দোলনের প্রতি সরকারের সর্বশেষ অবস্থান। সেই বিষয়টি আলোচনা করতে গেলে অবশ্যম্ভাবী রূপে এসে পড়ে আরেকটি দিক। সেটি হলো আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি মার্কিনপন্থী দেশের ভ‚মিকা। তারা সরাসরি সরকারি বা বিরোধী পক্ষে নাই। তাদের বক্তব্য হলো, এবারে বাংলাদেশে ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, পশ্চিমা শিবির চায় সেই নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় (Free and Fair) বাংলাদেশের অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক মহলের মতে, মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে সর্বশেষ যে মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের টিম ঢাকা সফর করে গেল (যে টিমে ডোনাল্ড লুও ছিলেন) তারা এবার কথাবার্তায় অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। তাদের এই সতর্ক কথাবার্তায় কেউ কেউ বিভ্রান্তও হয়েছিলেন। কিন্তু যারা দূর থেকে নিরপেক্ষভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিধারা পর্যবেক্ষণ করছেন, তারা বলছেন, যেখানে রাশিয়া ও চীন সরাসরি এই সরকারের পক্ষ নিয়েছে, সেখানে আমেরিকাকে অঢ়ঢ়ধৎবহঃষু একটি নিরপেক্ষ ভ‚মিকা দেখাতে হবে। এটি হলো ক‚টনীতির পর্দার ঐ ধারের ব্যাপার। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। এত দীর্ঘ কাল ক্ষমতায় থাকার ফলে ক‚টনীতি সম্পর্কেও তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে। তারা স্পষ্ট বুঝেছেন, আমেরিকা এবং তার অনুসারীরা কী চায়, কী করতে চায় এবং কোন পথে করতে চায়।

আমি আগেও বলেছি এবং এখনো বলছি যে, সরকার তাদের Course of action সম্পর্কে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোনো অবস্থাতেই তার পক্ষে আগামী নির্বাচনে অথবা বিরোধী দলের আন্দোলনের কাছে হেরে যাওয়া Afford করা সম্ভব নয়। ঠিক এই কারণে তাদের পক্ষে প্রতিপক্ষের প্রতি গণতান্ত্রিক উদারতা প্রদর্শন করাও সম্ভব নয়। বেশ কয়েকটি নামজাদা বাংলা দৈনিক গত দুই সপ্তাহে অনেকটা তাজ্জবের সুরে বলছে, সরকার বিরোধীদের প্রতি হার্ড লাইন নিয়েছে। কেন নিয়েছে? সেটি নিয়ে তাদের রাজ্যের বিস্ময়। তবে কেউ যদি জেগে জেগে ঘুমায় তাহলে তাদের জাগানো কার সাধ্য?

সুতরাং হার্ড লাইন নিয়ে প্রচন্ড দমননীতি চালিয়ে বিরোধী দলসমূহকে সেই ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ এর মতো স্তব্ধ করে দিতে হবে। রাজনীতি সচেতন মানুষদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০১৫ সালের আন্দোলন হয়েছিল প্রবল এবং প্রচন্ড। দেশজুড়েই এই আন্দোলনের কম্পন অনুভ‚ত হচ্ছিল। কিন্তু ঢাকায় সেই আন্দোলন তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। সেকারণে সেই আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলসমূহকে ৭/৮ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।

অতীতের সেই অভিজ্ঞতা থেকে বিএনপিসহ বিরোধী দলসমূহ শিক্ষা নিয়েছে। সেবার আন্দোলন দমনের ক্ষেত্রে একটি কৌশল ছিল সেই পুরাতন প্রবাদ, Give the dog a bad name and hang it. ঐ আন্দোলনে বিএনপি, জামায়াত প্রভৃতি বিরোধী দল গাড়ি-ঘোড়া ভাংচুর করেনি এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগও করেনি। কিন্তু তখন সমস্ত মিডিয়া ছিল সরকারের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে। তাই ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের ক্ষেত্রে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে সে যাত্রায় বিএনপির কণ্ঠ স্তব্ধ করা সম্ভব হয়েছিল। অতীত থেকে এবার বিএনপি এবং অন্যান্য দল শিক্ষা নিয়েছে। তারা আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে জনসম্পৃক্ততার ওপর। তাই দেখা যায়, গত অক্টোবর মাস থেকে সভা সমিতির মাধ্যমে বিএনপি যে জনসংযোগ অভিযান শুরু করেছে সেটি চ‚ড়ায় উঠেছে গত ২৮ জুলাই। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষরাও বলছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ২৮ জুলাইয়ের মতো এত বিশাল জনসভা আর হয়নি। অন্তত ২০ লক্ষ মানুষ এই জনসভায় যোগদান করেছিল।

\দুই\

ঐ জনসভা থেকেই ঘোষণা করা হয় যে, পরদিন অর্থাৎ ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখসমূহে বিরোধী দলসমূহ এবং জনগণ বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান করবে। ২৯ জুলাই নেতাকর্মীরা ঠিকই অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু বেলা সাড়ে ১১টা থেকেই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যায়। পুলিশের সাথে অনেক স্থানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডারদেরকেও দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশ এবং আওয়ামী বাহিনীর সম্মিলিত হামলা সত্তে¡ও বিএনপি নেতাকর্মী এবং জনগণ পিছু হটেনি। নেতাকর্মীরা যখন অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত এবং পুলিশী ও আওয়ামী বাহিনীর হামলায় ক্ষত-বিক্ষত, তখন সচেতন জনগণের অগোচরে কে বা কারা কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সেই পুরাতন খেলা। ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ এর খেলা। কোনো রকম অনুসন্ধান বা তদন্ত নাই, আওয়ামী শিবির থেকে ঘণ্টা খানিকের মধ্যেই বলা হলো যে, এই অগ্নিসংযোগ বিএনপি-জামায়াতের কাজ। তারপর দেখা গেল সেই পুরানা কায়দায় আগুন সন্ত্রাস নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দুই মন্ত্রী ঘোষণা করলেন, এগুলো বিএনপি-জামায়াতের কাজ। অতঃপর ২৯ জুলাইতেই আওয়ামী লীগ ঘোষণা করে যে, পরদিন অর্থাৎ ৩০ জুলাই রবিবার সারা বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্ন হলো, কে বা কারা এই বাসগুলোতে আগুন লাগিয়েছে? এ সম্পর্কে আমি নিজে অথবা দৈনিক ইনকিলাব কোনো কথা বলবো না। কারণ, আমরা সেটা জানি না। কিন্তু এ সম্পর্কে দৈনিক প্রথম আলোর রিপোর্টের অংশ বিশেষ নিম্ন হুবহু তুলে ধরছি।

‘তাড়াতাড়ি নাম। নইলে তোর শরীরে ঢাইলা দিলাম।’ -এ কথা বলে তিন যুবক বাসে উঠে আগুন দিয়ে চলে যায় বলে জানিয়েছেন গত শনিবার ঢাকার মাতুয়াইলে অগ্নিসংযোগের শিকার হওয়া তিনটি বাসের একটির চালক। চালকের নাম মো. সানাউল্লাহ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিন যুবক মোটরসাইকেলে করে এসেছিল। তাদের কাছে একটি বোতলে পেট্রল ও দেশলাই ছিল। তাদের হুমকির পর তিনি (বাসচালক) লাফ দিয়ে নেমে যান। সানাউল্লাহ আরও বলেন, যখন বাসে আগুন দেওয়া হয়, তখন আশপাশে পুলিশ ছিল। দুই মিনিটের মধ্যে আগুন দিয়ে মোটরসাইকেলে যুবকেরা চলে যান।

শনিবার ঢাকার চার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর তিশা পরিবহনের বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়, যেটির চালক ছিলেন সানাউল্লাহ। বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঘটে এই ঘটনা। সানাউল্লাহর ভাষ্য, তিনি লাফ দিয়ে বাস থেকে নামার পর ওই যুবকেরা বোতল থেকে বাসের ভেতরে পেট্রল ঢালেন এবং দেশলাই দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেন। এরপর তাঁরা মোটরসাইকেলে করে উল্টো পথ দিয়ে যাত্রাবাড়ীর দিকে চলে যান। পরে আশপাশের লোকজন বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বাসচালক সানাউল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সময় তিনি বাসটি সড়ক থেকে মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সামনের শান্ত ফিলিং স্টেশনের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তিনি যখন বাস ঘোরাচ্ছিলেন, ঠিক তখন তিন যুবক তাঁর সামনে আসেন।

প্রত্যক্ষদর্শী রাকিব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনেই যাত্রাবাড়ী থেকে উল্টো পথে আসা তিন যুবক বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে গেছেন।’ ফিলিং স্টেশনের পাশেই দোকান আকবর খানের। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দেখলাম, তিনজন যুবক চালককে হুমকি দিয়ে বাস থেকে নামতে বাধ্য করার পর বাসের ভেতর পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। অনেক লোকজনের সামনেই এই তিন দুর্বৃত্ত বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়েছেন।’

এদিকে শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলার সময় আরও দুটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ওই আগুন নেভান।’

\তিন\

এই অগ্নিসংযোগের ব্যাপারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের অংশ বিশেষ নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো।

‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিজেরা গাড়ি পুড়িয়ে এবং ভাংচুর করে বিএনপির উপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গত শনিবার তিনি বলেন, মাতুয়াইল ও শ্যামলীতে পুলিশের সামনেই গাড়িতে কারা আগুন দিয়ে ভিডিও করেছে সেটা ইতোমধ্যে পত্রিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বেরিয়েছে। অথচ, আগুন দেয়ার ও ভাংচুর করার ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সুস্পষ্ট প্রমাণ দিয়ে খবর বেরিয়েছে যে, পুলিশের সামনেই এসব ঘটনা ঘটিয়ে ভিডিও করে অপরাধীরা নির্বিঘেœ চলে গেছে। কারা এটা করতে পারে তা অনুমানের জন্য বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন নেই। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারি এবং সরকার দলীয় বাহিনীর বেআইনী ও সন্ত্রাসী তৎপরতার জবাব দেয়ার ক্ষমতা জনগণের রয়েছে, কিন্তু সেই ক্ষমতা প্রয়োগের ফলে যে অবাঞ্ছিত ও মর্মান্তিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে আমরা তা বরাবরই পরিহার করতে চেয়েছি এবং আজও করেছি। এটা আমাদের দুর্বলতা নয়, জনগণ ও গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতা। নির্যাতিত হয়েছেন কয়েক হাজার। মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন লাখো নেতাকর্মী। গণতন্ত্র চাই বলেই এত কিছুর পরও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথেই আছি আমরা। কিন্তু সব কিছুরই একটা সীমা থাকে। আশা করি, সরকার সেটা মনে রাখবেন।

তাদের নির্মম আক্রোশে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মাথায় মারাত্মক রক্তক্ষরণ, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হওয়া এবং অগণিত নেতাকর্মীকে নির্বিচারে গ্রেফতারের ঘটনা প্রমাণ করে যে, এই সরকারের হাতে দেশের কোনো নাগরিক নিরাপদ নন।’

২৮ ও ২৯ জুলাই বাংলাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলনের একটি বিরাট টার্নিং পয়েন্ট। আমি ইনকিলাবের এই কলামে বেশ কয়েকবার বলেছি যে, রাজনীতির নীল দিগন্তে অশুভ কালো মেঘের ঘনঘটা। যে কোনো সময় বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি বিপজ্জনক সাংঘর্ষিক পথে ধাবিত হতে পারে। দেখছি, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের রাজনীতি সেই বিপজ্জনক পিচ্ছিল পথেই ধাবিত হয়েছে। আরো অনেক কথাই বলার ছিল। আজকে আর বেশি কিছু বলবো না। শুধু এটুকু বলতে পারি যে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের আর মাত্র ৫ মাস বাকি। তার আগেই আরো অনেক ঘটনা ঘটবে, যা এই জাতির ভাগ্য নির্ধারণে ভ‚মিকা রাখবে। সেই অনাগত ভবিষ্যৎ দেখার জন্য সকলে ব্যকুল প্রতীক্ষায় বসে থাকুন। তথ্য সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব।