দেড় শ টন ভারতীয় পেঁয়াজ গতকাল সকালে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে পৌঁছার পর আড়তে দেশি পেঁয়াজের দাম কমে প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে গত মঙ্গলবার এই পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫০ টাকায় এবং গত রবিবার ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়।
আড়তদাররা বলছেন, পুরোদমে পেঁয়াজ আসা শুরু হবে আগামী সপ্তাহে। এর পর থেকে দাম স্থিতিশীল হবে।
ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে স্থির হতে পারে। দেশি পেঁয়াজে এখনো কেজি ৫০ টাকা দর দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বিক্রিতে সাড়া নেই।
ভারতীয় পেঁয়াজ আসার খবর পেয়ে গতকাল খাতুনগঞ্জে ভিড় করেছেন একদল ক্রেতা। যাঁরা মূলত রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী এবং ভ্রাম্যমাণ দোকানি।
আড়ত থেকে সরাসরি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সড়কে ভ্যানগাড়িতে করেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে; কিন্তু সেগুলো কিছুটা নষ্ট পেঁয়াজ। জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ দোকানি আরমান উল্লাহ বলেন, ‘ভারতীয় পেঁয়াজের মধ্যে যেগুলো কিছুটা নষ্ট, সেগুলো আমরা কিনেছি। বাছাই শেষে রোদে কিছুটা শুকিয়ে বিক্রি করছি ২০ থেকে ৩০ টাকায়।’
গতকাল সকালে ভারতীয় পেঁয়াজ এসেছে খাতুনগঞ্জের সৌমিক ট্রেডার্সে। সেখানে নষ্ট পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ২০ টাকায়। আর মোহাম্মদিয়া বাণিজ্যালয়ে ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকায়।
খাতুনগঞ্জের আড়তদার মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘ওপার থেকে দ্রুত সংগ্রহ করে আনায় এখন যে পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে এসেছে তার কিছু পচা পড়েছে। মূল পেঁয়াজ পুরোদমে আসবে আগামী সপ্তাহে।
তখন প্রতি কেজি বিক্রি হবে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে। কোরবানির ঈদের আগে পেঁয়াজ আসা সাপেক্ষে দাম আরো কমতে পারে।’
তিনি বলেন, আড়তে গতকালও দেশি পেঁয়াজ ছিল; কিন্তু ৫০ টাকা দরে ক্রেতা মেলেনি। কারণ সেগুলো ছোট আকারের। ভারতের পেঁয়াজ এলে চট্টগ্রামে দেশি পেঁয়াজের কদর কমে যায়। এবারও তাই হয়েছে।
এদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা) কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত চার লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত আট হাজার ৩০০ টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে। কালের কণ্ঠ।