নাটোরের লালপুরে কৃষি জমিতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন ও পুকুর খনন করার প্রতিবাদ করায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি দিয়েছে এলাকাবাসী। ৎ
বুধবার (২৪ মে) সকালে লালপুর-ঈশ্বরদী সড়কে নবীনগর এলাকায় অবৈধ পুকুর খনন ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রামের নারী পুরুষ মানববন্ধন করে এই সকল কথা জানান। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারক লিপি জমা দেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নবীনগর ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজাবুল হোসেন ডিলু, মহিলা ইউপি সদস্য লতিফা বেগম, শিক্ষক জাহিদ ইকবাল, আশরাফ আলী টুনা, আব্দুর শুকুর, জাফর আলম, সুমাইয়া আক্তারপ্রমুখ।
এসময় তারা বক্তারা আরো বলেন, শিবনগর এলাকার একটি কৃষি জমিতে গত তিন বছর আগে একটি পুকুর খনন করায় ওই এলাকার প্রায় ৫০০ হেক্টর জমি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ফলে ক্ষতির মধ্যে পড়েছে এলাকার কয়েক হাজার কৃষকরা। এভাবেই একের পর এক পুকুর খনন করায় মাঠে স্থায়ী জলাবন্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। গত রোববার রাতে অবৈধ ভূমি খেকোরা আবারও নতুন করে এই এলাকায় পুকুর খননের চেষ্টা করলে জমি মালিকরা এর প্রতিবাদ করেছে। উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা মালা দিয়ে গ্রাম ছাড়া করে রেখেছে পুকুর খননকারীরা। আমরা গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছি। আমরা এর প্রতিকার চায়। এই এলাকার প্রায় কৃষক ফুল চাষ করে। একর পর এক অবৈধ ভাবে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করায় আমাদের জমিতে বর্ষা মৌসুমে পানি নামে না। আমাদের আর চাষ বাদ হচ্ছে না । আমরা ক্ষতির মুখে পড়েছি। গভীর রাতে পুকুর খনন বন্ধে কে বা কারা এক্সেবেটরে আগুন দেয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে পুকুর খনন কারী উজ্জ্বল হোসেন। এখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রামের পুরুষ সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন। গ্রামে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পুকুর খনন কারী উজ্জ্বল হোসেন জানান, আমার জমিতে আমি বৈধভাবে পুকুর খনন করছি। কিন্তু এলাকাবাসী গায়ের জোর দেখিয়ে আমার খনন কাজ বন্ধ করে এবং এক্সেবেটরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান, মামলা এখনো রেকর্ড করা হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অহেতুক কাউকে হয়রানি করা হবে না।’
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা স্মারক লিপি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অবৈধভাবে কাউকে পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।