২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৪:৪১:২২ অপরাহ্ন


দেশের এই উন্নয়ন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ফসল: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৪-২০২৩
দেশের এই উন্নয়ন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ফসল: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো


যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে ওয়াশিংটনের রিজ-কার্লটন হোটেলে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

আইএমএফ প্রধানের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জেলে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশকে কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেই পরিকল্পনাগুলো করেছি। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করি। দেশের এই উন্নয়ন রাতারাতি হয়নি, এটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ফসল।

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা এবং নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ।

এ সময় আইএমএফ এমডি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের অভূতপূর্ব প্রশংসা করেছেন। একইসঙ্গে করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ধাক্কার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখার প্রশংসা করেছেন।

ক্রিস্টিলিনা জর্জিয়েভা বলেন, ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ভালো কানেকটিভিটি এবং আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

এর আগে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৮ এপ্রিল বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমেদ কায়কাউস।

ওয়াশিংটন ডিসিতে সাত দিনের সফর শেষ করে যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথ রাজ্যের রাজা ও রানী হিসেবে তৃতীয় চার্লস এবং তার পত্নী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেকের জন্য ৪ মে লন্ডনের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

গত ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী জাপানে যান। জাপানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সম্বর্ধনা এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরকালে ঢাকা ও টোকির মধ্যে কৃষি, মেট্রো রেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়, মেধা সম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ আটটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত ২৬ এপ্রিল শেখ হাসিনা জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। একই দিনে তিনি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন।

প্রধানমন্ত্রী গত ২৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য চারজন জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অফ লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদানের পাশাপাশি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।

টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির সঙ্গে বৈঠক এবং জাইকা, জেট্রো, জেইবিআইসি, জেবিপিএফএল ও জেবিসিসিইসি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকসহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন।

শেখ হাসিনা জাপানের প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্ত্রী আকি আবে এবং একজন জাপানি স্থপতি তাদাও আন্দোর সঙ্গেও বৈঠক করেন।

প্রধানমন্ত্রী আগামী ৯ মে লন্ডন থেকে ঢাকা পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।