প্রেমিকে ভিডিয়ো কলে কথা বলার সময় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে প্রেমিকা।
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার দক্ষিণ সাহা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রেমিকের দেয়া ফোন থেকে কীটনাশক খাওয়ার কথা জানতে পারে যুবতীর পরিবার। এ সময় তারা মেয়েকে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক যুবতীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাস পাঁচেক আগে ইসলামপুর থানার অন্তর্গত মোক্তারপুর এলাকার এক নাবালকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় ওই নাবালিকা। সে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কিন্তু সেই প্রেমের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্রেমিকের পরিবার। নাবালিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয় প্রেমিকও। তার পরেই এই ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে প্রেমিকের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলছিল নাবালিকা। তার কিছু ক্ষণ পরেই নাবালিকার বাবাকে ফোন করে প্রেমিক। জানায়, তাঁর মেয়ে কীটনাশক খেয়েছে। এর পরেই পরিবারের লোকজন অসুস্থ নাবালিকাকে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
যুবতীর বাবার দাবি, ‘‘আমরা ওদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু ছেলের পরিবার মানতে চায়নি।’’ এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হয়নি নাবালকের পরিবার। তাদের দাবি, নাবালিকা অভিমানে আত্মহত্যা করেছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রেমিককে শেষ মেসেজে নাবালিকা লিখেছিল, ‘‘তেরে লিয়ে কুছভি করেগা!’’ মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরিবারের দেয়া বক্তব্য অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’