প্রচন্ড গরমে ফুটছে কলকাতা। এদিকে গরমের ছুটিও এগিয়ে আসছে। এবার শুধু পাহাড়ে বেরিয়ে পড়ার পালা। কিন্তু যাবেন কোথায়? এবার কি পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে ট্রেকিংয়ের ইচ্ছে আছে? তবে এবার আপনি বেছে নিতেই পারেন টোংলু আর টুংলিং। একটু অচেনা জায়গা।
আসলে দার্জিলিংয়ে মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু যাওয়ার পথে পড়ে এই টংলু গ্রাম। পাহাড়ের ১০,১৩০ ফুট উচ্চতায় এই ছোট্ট গ্রাম। সান্দাকফু যাওয়ার পথে মূলত ট্রেকার্সরা এই গ্রামে রাতে থাকেন। ফের পরের দিন বেরিয়ে পড়া। আপনিও যেতে পারেন। তবে সঙ্গে বাচ্চা বা বয়স্ক ব্যক্তি থাকলে এড়িয়ে যাওয়াটাই মঙ্গল। সমতলে যখন গরমকাল তখনও টংলুতে সোয়েটার পরতে হয়। এতটাই ঠান্ডা। বেশ অন্যরকম অনুভূতি হবে।
তবে বর্তমানে এখানে যাতায়াতের এখন অনেকটাই সুবিধা হয়ে গিয়েছে। মেঘমা পর্যন্ত গাড়িতে আসা যায়। আর সেখান থেকে মোটামুটি ২ কিমি ট্রেক করে যেতে হয় টংলু। পরের গ্রামটা টুংলিং। সেটা আরও প্রায় ২ কিমি দূরে টুংলিং। অপূর্ব সুন্দর দুই গ্রাম। আর এই এপ্রিল মে তে যদি যান তবে তো রাস্তার দুদিকে রোডোডেনড্রন আপনাকে স্বাগত জানাবে।
এক অপূর্ব মায়াবী জায়গা এই টুংলিং। কুয়াশায় মোড়া চারদিক। আর পাহাড় যদি দেখতে চান তবে টুংলিং আর টোংলুর বিকল্প হয় না। ভারত ও নেপাল সীমান্তবর্তী এই নিরিবিলি গ্রাম। একাধিক হোম স্টে ও লজ রয়েছে।শীতকালে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি চলে যায়। টুংলিং থেকে সান্দাকফু মোটামুটি ১৯ কিমি। পাহাড়ের কোলে যেন দুই ভাইবোন টুংলিং আর টোংলু। আকাশ যদি পরিষ্কার থাকে আর ভাগ্য যদি সহায় থাকে তবে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পেতে পারেন। হোমস্টের বারান্দায় বসে গরম গরম মোমো খান। আর মন ভরে পাহাড় দেখুন।
কীভাবে যাবেন? শিলিগুড়ি থেকে মিরিক হয়ে মানেভঞ্জনের দূরত্ব প্রায় ৭৫ কিমি। সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে পারেন। দার্জিলিং থেকে ঘুম হয়ে মানেভঞ্জন পর্যন্ত দূরত্ব মোটামুটি ২৫ কিমি। এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে আসতে পারেন এই দুই গ্রামে রাস্তা কিছুটা খাড়াই। বছরের বেশিরভাগ সময়ই কুয়াশা থাকে। তবে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার যে ভরপুর অনুভূতি সেটা বুঝতে পারবেন। আর যারা একটু অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তাঁদের জন্য অত্যন্ত প্রিয় এই দুই জায়গা।