লেবু স্বতন্ত্র স্বাদ এবং সুগন্ধযুক্ত স্বাস্থ্যকর ফল। বৈজ্ঞানিকভাবে লেবু সাইট্রাস লিমন নামে পরিচিত। এই ফল ভিটামিন সি, সাইট্রিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ। লেবুতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। হালকা গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
এছাড়াও, লেবুর তেল অন্যান্য এসেনসিয়াল তেল যেমন-রোজমেরি, ল্যাভেন্ডার, অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে নানা ধরনের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কোলেস্টেরল কমাতে: লেবুতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি, ফাইবারসহ নানা উপাদান থাকায় এটি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। গবেষণা অনুসারে, এক মাস ধরে প্রতিদিন ২৪ গ্রাম সাইট্রাস ফল যেমন লেবুর নির্যাস গ্রহণ করলে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। লেবুতে উপস্থিত দুটি উপাদান এই কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে।
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ: আয়রনের ঘাটতি রক্তাল্পতার একটি প্রচলিত কারণ। লেবুতে অল্প পরিমাণে আয়রন আছে। তবে এটি ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিডের একটি চমৎকার উৎস, যা খাবার থেকে আয়রনের শোষণকে উন্নত করে রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: লেবু স্তন ক্যান্সার এবং সাধারণভাবে অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে থাকা হেস্পেরিডিন এবং ডি-লিমোনিনের মতো উপাদান স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
কিডনিতে পাথর জমা প্রতিরোধ করে: টক ফল কিডনিতে পাথরের প্রাথমিক কারণ ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল জমাতে বাধা দেয়। এর ফলে নিয়মিত লেবু খেলে কিডনিতে পাথর জমতে পারে না।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ লেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, অনেক অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। পাশাপাশি কাশি ও সর্দি নিরাময় করে।
ত্বকের সুরক্ষায়: লেবুতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বকের সংক্রমণের চিকিৎসার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।