২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৩:৪৩:০৪ অপরাহ্ন


যুবকের মাথা ফাটানো সেই পুলিশ কনস্টেবল সাময়িক বরখাস্ত
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৪-২০২৩
যুবকের মাথা ফাটানো সেই পুলিশ কনস্টেবল সাময়িক বরখাস্ত অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম।


তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লোহার রড দিয়ে যুবকের মাথা ফাটানোর ঘটনায় অভিযুক্ত পাবনার চাটমোহর থানার কনস্টেবল সিরাজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ-প্রশাসন) মাসুদ আলম।

তিনি বলেন, শনিবার সকালের ঘটনার পর বিকেলে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে শনিবার (০৮ এপ্রিল) সকালে চাটমোহর পৌর এলাকার মহিত কলোনীর চৌধুরীপাড়া এলাকায় মকবুল হোসেন (৩৫) নামের এক যুবককে লোহার রড দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেন ওই পুলিশ কনস্টেবল।

আহত যুবক মকবুল হোসেন উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের টলটলিপাড়া গ্রামের মৃত শফিউদ্দিন প্রামানিকের ছেলে। আর অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম চাটমোহর থানার কনস্টেবল এবং থানার ওসির বডিগার্ড। তিনি মকবুলের ভাই সবেদ প্রামানিকের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

ভুক্তভোগী মকবুল হোসেন বলেন, কয়েকদিন ধরে তার ভাই সবেদ প্রামানিকের বাড়ির কাজ চলছিল। ভাই বিদেশে থাকায় এসব কাজের দেখাশোনা করছিলেন তিনি। শনিবার কাজের জিনিসপত্র নেয়ার সময় গেটের সামনে রাখা অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের মোটরসাইকেল সরাতে বলেন মকবুল। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে তাকে মাথায় আঘাত করেন কনস্টেবল সিরাজুল।

এতে মকবুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বেধড়ক পেটাতে থাকেন তিনি। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মকবুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করলে বাধা দেন কনস্টেবল সিরাজুল। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে সটকে পড়েন সিরাজুল। পরে আহত মকবুলকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মকবুলের চাচা আব্দুল মজিদ বলেন, মকবুলকে মারপিট করার পর চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ না দিয়ে থানায় নিয়ে রেখেছে শুনে আমি থানায় যাই। বিষয়টি সহকারি পুলিশ সুপারকে (চাটমোহর সার্কেল) জানানোর পর আমি আমার ভাতিজাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। মকবুলের মাথায় চারটি সেলাই দিতে হয়েছে। হাতের আঙুলেও আঘাত পেয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম জানান, মকবুল হোসেন একবার সকাল সাতটার দিকে ডাকাডাকি করলে আমি গেট খুলে দিয়ে ঘুমাতে যাই। নয়টার কাছাকাছি সময়ে সে এসে আবার ডাকাডাকি শুরু করলে আমি গেট খুলে দেই। সে বারবার দ্রæত মোটরসাইকেল সরাতে বলে। এক পর্যায়ে বলে ভাল না লাগলে বাসা ছেড়ে দেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সে বলে, আপনি ক্ষমতার গরম দেখাচ্ছেন। এসময় কাঠের বাটাম দিয়ে তাকে মারি আমি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে সহকারি পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) হাবিবুল ইসলাম জানান, আমি একটি প্রশিক্ষণে আছি। ইতিমধ্যে ঐ পুলিশ সদস্যকে পাবনা পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।