গরম রসগোল্লা পাতে পড়লে কার না মন খুশিতে ভরে ওঠে? আবার ওজন বাড়ার ভয়ে মনে মনে কিন্তু কিন্তু। এ সব দোনামোনা এক্কেবারে ঝেড়়ে ফেলুন। জানেন কি গরম রসগোল্লার কত গুণ? শুধু তাই নয়, রোজ গরম রসগোল্লা খেলে ওজন তো বাড়েই না, বরং নিয়ন্ত্রণে থাকে।
▶জেনে নিন গরম রসগোল্লার ১০ গুণঃ
১। দাঁত ও হাড়ের যত্নঃ রসগোল্লা ছানা দিয়ে তৈরি হওয়ায় রসগোল্লায় প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় হাড় ও দাঁত সুস্থ থাকে। হাড় বা দাঁতের ক্ষতও রোধ করতে পারে রসগোল্লা। অস্টিওপরেসিস বা গাঁটে ব্যথা সারাতেও উপকারী গরম রসগোল্লা।
২। ইন্সট্যান্ট এনার্জিঃ দেহের প্রয়োজনীয় ক্যালরি মিটিয়ে ইন্সট্যান্ট এনার্জি জোগাতে পার রসগোল্লা। সারা দিনের খাটনির পর বা ওয়ার্কআউটের পর গরম রসগোল্লা খান।
৩। যন্ত্রণা উপশমঃ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড গাঁট ও বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন কে ও ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের ঘনত্ব ধরে রাখে।
৪। দাঁতের ক্যাভিটিঃ রসগোল্লায় ল্যাকটোসের পরিমাণ কম থাকায় দাঁত ক্ষতিকারক সুগারের হাত থেকে রক্ষা পায়। ভিটামিন ডি ক্যাভিটি রোধ করতে সাহায্য করে।
৫। ওজনঃ রসগোল্লা হাই প্রোটিন ডায়েট। মোনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট ওজন কমাতে সাহায্য করে। রসগোল্লার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার থাকার কারণে হজম ভাল হয়। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
৬। ক্যানসারঃ উচ্চমাত্রায় ও উচ্চমানের প্রোটিন থাকার কারণে পেট, ব্রেস্ট, প্রস্টেট বা কোলন ক্যানসার রুখতে পারে রসগোল্লা।
৭। হার্টঃ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৮। ইউরিনারিঃ রসগোল্লা ইউরিনারি সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বজায় রাখে। ফলে সহজে কিনডি স্টোন হতে পারে না।
৯। রোগ প্রতিরোধঃ রসগোল্লা রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখে। সর্দি, কাশি, ব্রঙ্কিয়াল অ্যাস্থমা সারাতে উপকারী রসগোল্লা।
১০। শিশুদের জন্যঃ রসগোল্লা পুষ্টিগুণে ভরপুর। শিশুদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে শারীরিক ও মানসিক গঠনে সাহায্য করে গরম রসগোল্লা।