দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার, যা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। দইয়ের উপকারী ব্যাক্টেরিয়া হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা দূর করে। সুস্বাস্থ্যের জন্য তাই রমজানের এই মাসে ঘরেই তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু দই।
দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ২, বি ১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। এর ল্যাক্টিক অ্যাসিড ত্বক এক্সফলিয়েট করে এবং মৃত কোষ দূর করে। তবে দইয়ের সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই বেছে নিতে হবে টক দইকে।
টক দই খাওয়া অনেকে এড়িয়ে চলেন এর টক স্বাদের জন্য। কিন্তু আপনি কি জানেন, টক দই যদি ঘন হয় তবে এ দইয়ের স্বাদ অনেকটাই বেড়ে যায়।
দোকানের দইয়ের পরিবর্তে বাড়িতেই ঘন টক দই করতে পারেন। এর জন্য বাজার থেকে ছাঁচ হিসেবে অল্প পরিমাণে দই কিনে আনাও প্রয়োজন নেই। শুধু প্রয়োজন হবে দুটি কাঁচা মরিচের।
প্রয়োজনীয় উপকরণ: বাড়িতে টক দই তৈরি করার জন্য আপনার লাগবে ৫০০ মিলি তরল দুধ, ১ চামচ ঘি, ১ কাপ গুঁড়া দুধ, ২ টি কাঁচা মরিচ, মাটির হাঁড়ি ১টি, ১টি পরিষ্কার তোয়ালে।
যেভাবে তৈরি করবেন: ঘন টক দই তৈরি করতে প্রথমে অল্প আঁচে একটি সসপ্যান চুলায় বসিয়ে দিন। এরপর এর মধ্যে ৫০০ মিলি তরল দুধ ঢেলে দিন। ততক্ষণ ভালো করে রান্না করতে থাকুন যতক্ষণ তরল দুধের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে ২৫০ মিলি হয়।
যখন দেখবেন দুধ ঘন হতে শুরু করেছে, তখন ঘি আর গুঁড়া দুধ যোগ করুন। এবারে তরল দুধ হালকা বাদামি রঙে পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। হালকা হলুদ রঙের ঘন দুধ হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করুন এবং দুধ হালকা গরম হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
এ অবস্থায় তরল দুধে ছেড়ে দিন বোঁটাসহ দুটি কাঁচা মরিচ। মনে রাখতে হবে কাঁচা মরিচ যাতে দুধে সম্পূর্ণভাবে ডুবে থাকে। কাঁচা মরিচের বোঁটায় রয়েছে এনজাইম। এই এনজাইমের গুণেই দুধ কেটে গিয়ে জমাট বেঁধে সহজেই তৈরি হয় দই।
এবারে পাত্রের মুখ ফয়েল পেপার দিয়ে আটকে দিন। তারপর পাত্রটিকে তোয়ালের মধ্যে জড়িয়ে রাখুন। এটি একটি বড় পাত্রের মধ্যে রাখুন এবং ঢাকনা বন্ধ করে দিন। সম্পূর্ণভাবে ঢাকা পাত্রটি ১২ ঘণ্টা রেখে দিন। ব্যাস, ঘন টক দই তৈরি।
এবার দইয়ের মাটির পাত্রটি ফ্রিজে ১০ মিনিট রেখে দিন। ইফতারের সময় ভারী খাবারের পর এ দই খেতে পারেন। অথবা এ দই দিয়েই তৈরি করতে পারেন ইফতারের সেরা পানীয় লাবান।
সূত্র: আনন্দবাজার