সকালে যদি ফুরফুরে মেজাজে ঘুম ভাঙ্গে তবে সারাটাদিন বেশ আনন্দে কাটে। এছাড়া সকালে যেকোনো কাজই চটজলদি করে ফেলা সম্ভব। কারণ তখন শরীরে আলাদা এনার্জি থাকে। তাইতো সকালে সব কাজ করাই আরামদায়ক।
অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করেন। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। এছাড়া মন ভালো রাখতেও ব্যায়ামের জুড়ি নেই। তবে সকালের শুরুটা করতে হবে খুব ভেবেচিন্তে। সকালে ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করুন দিনটা, তবেই সারাদিন কাটবে চাঙ্গা। এছাড়াও আর কী কী করলে আপনার দিন যাবে সতেজ ও চাঙ্গা চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
ফোন বন্ধ রাখুন
সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফোন ও মেইল চেক করবেন না। কারণ এতে আপনার মেজাজ খারাপ হতে পারে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় নেমে পরার দরকার নেই বরং অফিসের কাজ অফিসেই করে ফেলুন। এতে মেইল দেখেই কাজ শুরু করার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। তবে ঘুম থেকে উঠেই মেইল দেখবেন না।
জল পান করুন
সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে এক গ্লাস জল পান করুন। দীর্ঘ সময় বিশ্রামে থাকা শরীরকে ঠিকমতো জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করবে জল । এই এক গ্লাস জল রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহতে সাহায্য করবে এবং ঘুমঘুম ভাব কেটে গিয়ে শরীর হবে চাঙা।
১৫ মিনিট হাঁটুন
হাঁটার চেয়ে উত্তম কোনো ব্যায়াম হতে পারে না। প্রতিদিন সকালে অন্তত ১৫ মিনিট টানা হাঁটার অভ্যাস আছে অনেকেরই। আর যাদের এ অভ্যাস নেই তাদেরও অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। কারণ প্রতিদিন সকালে মাত্র ১৫ মিনিটের এ হাঁটা সারা দিন ভালো কাটাতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তাই নিয়মিত আলো-বাতাসপূর্ণ জায়গায় কমপক্ষে ১৫ মিনিট হেঁটে নিন।
স্ট্রেচিং করুণ
সকালে আমরা যখন ঘুম থেকে উঠে থাকি তখন আমাদের মেরুদণ্ড ও শরীরের অন্যান্য পেশী কিছুটা শক্ত হয়ে থাকে। এতে ঘুম থেকে উঠেই স্ট্রেচিং অথবা শরীরকে প্রসারিত করতে হয়। ফলে আমাদের শরীরের উৎপাদনশীলতা ঠিক থাকে। ঘুম থেকে উঠেই তিন-চার বার স্ট্রেচিং করুন এবং কয়েকবার গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিন। ও ১০ থেকে ১৫ মিনিট ইয়োগা করে নিন।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান
সকালের নাশতায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। কারণ এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রোটিন অনেকটা সময় ধরে পেট ভর্তি রাখে এবং ক্ষুধা নিবারণ করে। আপনি যখন ক্ষুধার্ত কম হবে তখন আপনি সাধারণভাবেই কম খাবেন। এতে করে আপনার ওজনও কমবে।