সিরাজগঞ্জে পাচারের সময় টিসিবির পণ্যবাহী ট্রাক স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটককৃত মালামাল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখে। উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে ঘটনা অবহিত না করে মীমাংসা করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে চেয়ারম্যান নিজেই এসব মালামাল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন।
এদিকে টিসিবির পণ্য পাচারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহেল রানা ও সদর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুকাতে রাব্বি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, রাতের অন্ধকারে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে ট্রাকে করে তেল, চিনিসহ টিসিবির মালামাল ভর্তি করে পাচার করার চেষ্টা করছিল। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা ট্রাকটি আটক করে। এ সময় ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়।
বাগবাটি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রুহুল আমিন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ডিলার জাকিরুল ইসলাম সান্টুর মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয়। দুদিন যাবত অনেক অসহায় মানুষ পরিষদে মালামালের জন্য গেলেও বিভিন্ন অজুহাতে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য নেওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে ট্রাকটি আটক করেছি।
ডিলার জাকিরুল ইসলাম সান্টুর ম্যানেজার বাবু চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণে মালামাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নান্নু মিয়া বলেন, আটককৃত টিসিবির পণ্য চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
সদর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, জব্দকৃত টিসিবির মালামাল ইউনিয়ন পরিষদেই আছে। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুকাতে রাব্বি বলেন, বিষয়টি কেউ জানায়নি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি দেখছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।