আজকাল বেশিরভাগ নারী-পুরুষেরা দেরিতে বিয়ে করার পক্ষে। তবে জেনে রাখা ভালো, একটি নির্দিষ্ট বয়সের মাঝেই বিয়ে করে ফেলা ভালো। কেননা দেরিতে বিয়ে করলে বেশিরভাগ নারীই কিছু মানসিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। এমনকি যারা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নারী, তাদের মাঝেও দেখা যায় অনেক ব্যাপার। কখনও কাজ করে ঈর্ষা, কখনও সামাজিক চাপ, কখনও একাকীত্ব। এর ফলে অনেকেই নিজের মাঝে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু সমস্যা সম্পর্কে, যেগুলো তৈরি হয় দেরিতে বিয়ে হলে।
বিষণ্ণ হয়ে যাওয়া: সমবয়সী সব বন্ধু-বান্ধবীদের বিয়ে হয়ে গেছে? স্বভাবতই বিয়ের পর সবাই নিজের পৃথিবী নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ ক্ষেত্রে যার বিয়ে হয়নি, তিনি হয়ে পড়েন একা, বিষণ্ণ। আর সেই বিষণ্ণতা থেকেই মনের মাঝে জন্ম নেয় হতাশা।
আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা: যে সমাজে সঠিক সময়ে বিয়ে না হলে একটি মেয়ে হয়ে ওঠে সবার চক্ষুশূল, সেই সমাজে বিয়েতে দেরি হলে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে অনেক নারীই নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন আর ক্রমশ গুটিয়ে নিতে থাকেন জীবন থেকে। কিন্তু ভুলেও এই কাজটি করবেন না। মনে রাখবেন, জীবনটা আপনার। তাই আপনার জীবনে মাথা উঁচু করে আপনাকেই বাঁচতে হবে।
নিজেকে অযোগ্য মনে করা: পাত্রী দেখাবার প্রক্রিয়াটা খুব অপমানজনক অনেকের কাছে। কারণ প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর নিজেকে অনেকেই অযোগ্য মনে করতে শুরু করেন অনেকে। কিন্তু মনে রাখবেন, কোনও পুরুষের আপনাকে পছন্দ হয়নি মানেই আপনি অযোগ্য নন। তবে এ ক্ষেত্রে সম্ভব হলে ঘটা করে পাত্রী দেখার আয়োজনটা এড়িয়ে যান। এতে অনেকটাই স্বস্তি পাবেন।
ভুল মানুষকে বেছে নেওয়া: অনেক নারীই ভুল মানুষটিকে বেছে নেন বিয়ের জন্য। কারণটা ক্রমাগত পারিবারিক ও সামাজিক চাপ। কিন্তু এই ভুলটি কখনও করবেন না। মনে রাখবেন, একটাই জীবন এবং এই জীবনে একটি ভুল বিয়ে আপনার অশান্তি কমাবে না বরং বাড়বে।
ঈর্ষা হওয়া: বিয়ে হয়ে যাওয়ায় খুব কাছের বান্ধবীটি হয়তো এখন আর আপনাকে সেভাবে সময় দিতে পারেন না। কারণ সে নিজের সংসার নিয়েই ব্যস্ত ও সুখী। এমন অবস্থায় ঈর্ষার একটা বোধ খোঁচা দিতেই পারে আপনাকে। এ ক্ষেত্রে নিজেকে বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করুন, একদিন আপনারও এমন চমৎকার একজন জীবনসঙ্গী হবে।
নিজেকে হাস্যকর করে ফেলা: অনেক নারীর মনের মাঝে ক্রমাগত ঘুরতে থাকে যে ‘বয়স পার হয়ে যাচ্ছে’! আর এই পার হয়ে যাওয়া বয়সকে টেক্কা দিতে একজন জীবনসঙ্গীর জন্য আকুল হয়ে ওঠেন অনেকেই। এমনটা করতে গিয়ে নিজেকে হাসি ও করুণার পাত্রে পরিণত করে ফেলেন তারা। কিন্তু মনে রাখবেন, এসবে তেমন কোনও ফল নেই। বরং এসব করে কেবল সামাজিক মর্যাদাতেই খাটো হচ্ছেন আপনি।