সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় নির্মাণাধীন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নির্মিত হচ্ছে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের উল্লাপাড়া পৌর বাস টার্মিনালের পাশে তিনতলাবিশিষ্ট এই মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ পায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ফার্স্ট এস এস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি মসজিদের অধিকাংশ পিলার আঁকাবাঁকা করে ঢালাই দিয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঢালাইকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদের চারপাশে ঢালাই ও পিলারের জন্য গর্ত করলে বৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে আঁকাবাঁকা ও হেলে পড়া পিলার দৃশ্যমান হয়। পরে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসককে জানান।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, প্রতিটি পিলারের নিচের দিকটা সরু ও ওপরে মোটা করে ঢালাই দেয়া হয়েছে। এতে পিলারগুলো সামান্য বৃষ্টিতে হেলে পড়েছে।’
অভিযোগ পাওয়ার পর শুক্রবার (২৪ মার্চ) মসজিদের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. তোফাজ্জল হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে প্রাথমিকভাবে মডেল মসজিদটি নির্মাণে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, পুরো কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্ত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট এস এস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। মোবাইলে কল দেয়া হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম। প্রথম থেকেই মডেল মসজিদ নির্মাণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তিনতলাবিশিষ্ট উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা।