প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার কাজে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের কোনো ক্ষতি করে না বলেই এর ব্যবহার বর্তমান যুগেও একটুও কমেনি, বরং বেড়েছে।
তবে রূপচর্চায় ব্যবহৃত এসব প্রাকৃতিক উপাদান যতই ভালো ফলাফল দিক না কেন, তারপরও সাবধান থাকা জরুরি। কারণ পরিবেশবান্ধব এসব উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী হলেও অনেক বেশি ব্যবহার করলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে একটু সাবধান হতে হবে। না হলে আপনি আপনার ত্বকের জন্য ডেকে আনতে পারেন বিপদ।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদানের ক্ষতিকর দিক যা আমরা প্রায়ই সৌন্দর্যচর্চায় ব্যবহার করি-
দারচিনি: আজকাল ব্রণের সমস্যা সমাধানে দারচিনি খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। অনেকেই মুখের মাস্ক হিসেবে এটি ব্যবহার করছেন। দারচিনির একটি ক্ষতিকর দিক হচ্ছে এটি চর্মরোগ যা ত্বকে লালচে ভাব, রেশ ও জ্বালাপোড়ার জন্য দায়ী।
চিনি: মুখের ত্বকের জন্য চিনি খুবই উপকারী। কিন্তু বেশি মাত্রায় এটি ব্যবহার করা উচিত না। ত্বক ভালোভাবে স্ক্রাব না করে মরা কোষ দূর করতে চিনি ব্যবহার করেন অনেকে। এটি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। চিনি ঘা এর মতো ক্ষত তৈরি করতে পারে যা ত্বককে অনেক বেশি শুষ্ক করে দেয়।
লেবুর রস: লেবুতে অনেক বেশি ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকে। অনেকেই বয়সের ছাপ দূর করতে মুখের ত্বকে এটি ব্যবহার করেন। কিন্তু লেবুর কারণে ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন ও জ্বালাপোড়া হতে পারে। তাই লেবুর রস ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
বেকিং সোডা: মানসিক চাপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে গোসলে অনেকেই বেকিং সোডা ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এর ক্ষারীয় মাত্রা আপনার ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
নারকেল তেল: ত্বক থেকে শুরু করে চুলের যত্নে আমরা নারকেল তেল ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অনেকেই জানেন না নারকেল তেল সব ধরনের চুলের জন্য নয়। যেসব চুলের গোড়ায় তরল পদার্থ চলাচলের রন্ধ্র কম থাকে, সেসব চুলে নারকেল তেলের পাতলা স্তর জল প্রবাহের পথ বন্ধ করে দিতে পারে। এতে চুল প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা পায় না, ফলে শুষ্ক হয়ে যায়।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার: অনেকেই ব্রণ, খুশকি অথবা প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্ট হিসেবে অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এটি অনেক বেশি অ্যাসিডিক হওয়ায়, আপনার ত্বকে মারাত্মক রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এ ধরনের প্রতিক্রিয়া এড়ানোর জন্য অ্যাপল সিডার ভিনেগার জল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
ডিমের সাদা অংশ: মুখের ত্বকের কুচকানো ভাব দূর করে টান টান ও মসৃণ করে তুলতে অনেকেই ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করে থাকি। ডিমের মধ্য দিয়ে সেলমোনেলা নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া পেটে গিয়ে খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। তাই কাঁচা অবস্থায় ডিম মুখের কাছে না নেয়াই ভালো।