পাঠ্যপুস্তকের ভুল ও সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করতে দুটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে একটি কমিটি সাত সদস্যের আরেকটি পাঁচ সদস্যের।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম কমিটিকে ৩০ কর্মদিবস ও দ্বিতীয় কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের সময় দেয়া হয়েছে। রোববার (২৯ জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি কমিটি দুটির অনুমোদন দেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাত সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ওয়াহেদুজ্জামান চানকে। এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা বিভাগের শিক্ষক আব্দুল হালিম এবং বিএফ শাহিন কলেজের শিক্ষক আব্দুল মান্নান। পাঠ্যপুস্তকের ভুলত্রুটি ও বিতর্কিত বিষয় খুঁজে বের করে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
আর অন্য কিমিটির আহ্বায়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। এ কমিটির ভুল-ভ্রান্তির জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কোন কোন কর্মকর্তা জড়িত তাদের খুঁজে বের করবে। এ কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে হবে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে।
মন্ত্রণালয়ের সূত্রটি জানিয়েছে, রোববার বিকেলে কমিটি দুটির অনুমোদন দেয়া হলেও দাফতরিক কাজ শেষ করে অফিস আদেশ জারি করা সম্ভব হয়নি। আজ (সোমবার) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে ভুলভ্রান্তি, তথ্য বিকৃতি ও ধর্মীয় উসকানি সংশোধনসহ জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে উচ্চপর্যায়ের দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। যার একটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সম্পৃক্ত থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।