গত বছর জুনে আমাজ়নের জঙ্গলে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এক জন ব্রিটিশ সাংবাদিক ও গবেষক ডোম ফিলিপস (৫৭)। অন্য জন তাঁর সঙ্গী, ব্রাজিলের পরিবেশ আন্দোলনকারী ব্রুনো পেরেইরা।
আমাজ়নের গহীন অরণ্য আর খাঁড়ি এলাকায় বেআইনি ভাবে মাছ ধরা, মাদক পাচার, খনিজ আহরণ, কাঠ পাচার— এ সব নিয়েই গবেষণা চালাচ্ছিলেন ওই সাংবাদিক। তাঁকে সাহায্য করছিলেন ব্রুনো। তদন্তকারীদের সন্দেহ ছিল, তার জেরেই পাচারকারীদের হাতে দু’জনকে খুন হতে হয়েছে।
সোমবার ব্রাজিলের পুলিশ জানিয়েছে, তাদের সন্দেহই যে সত্যি, সে বিষয়ে বিস্তর প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। রুবেন দ্য সিলভা ভিলার ওরফে কলম্বিয়া নামে এক মাদক পাচারকারীকেই মূল চক্রী হিসেবে ঠাউরেছে পুলিশ।
আমাজ়ন এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব যার হাতে, সেই ফেডারেল পুলিশের প্রধান এডুয়ার্ডো ফন্টেস এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘‘তদন্ত প্রায় গুটিয়ে এনেছি। ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কলম্বিয়াই যে মূল ষড়যন্ত্রকারী, এ বিষয়ে প্রচুর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি।’’ ফন্টেস বলেন, ব্রুনোদের খুনের জন্য তিন জনকে দায়িত্ব দিয়েছিল কলম্বিয়া। তাদের জন্য নৌকা আর অস্ত্রের ব্যবস্থাও সে-ই করেছিল। পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তিন জন। এক জনের আইনজীবীর জন্যেও টাকা দিয়েছিল ওই মাদক মাফিয়া।
গত বছর ৫ জুন ডোম আর ব্রুনোকে জঙ্গলের মধ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেহ মেলার পরে তদন্তে নেমে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জুলাই মাসে ধরা পড়ে কলম্বিয়া। অক্টোবর নাগাদ শর্তসাপেক্ষে জামিনও পায় সে। কিন্তু শর্তগুলি না মানায় ফের তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।