বিপিএলে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রথম ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে নিজেদের শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে জিততেই হবে চট্টগ্রামকে।
এবারের বিপিএলে সবচেয়ে আলোচিত ফ্র্যাঞ্জাইজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মাঠের বাইরে নানা কর্মকাণ্ডে বেজায় সমালোচনার জন্ম দিয়েছে ওরা। সরাসরি যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মাঠের পারফরমেন্সে। আর তাই লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে এসেও সুতোয় ঝুলে ওদের প্লে অফ ভাগ্য।
সেরা চারে যেতে হলে সিলেটের বিপক্ষে জিততেই হবে চ্যালেঞ্জার্সদের। আগের ম্যাচে ঢাকাকে হারিয়ে সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে ওরা। একই সঙ্গে ফিরে পেয়েছে আত্মবিশ্বাস। দলে ভালো করছে তুরণরা। ওভারসিজ রিক্রুট উইল জ্যাকস আর বেনি হাওয়েলরা ভরসার প্রতিচ্ছবি চট্টগ্রামের।
এদিকে এ আসরটা ভুলে যেতে চাইবে সিলেট সানরাইজার্স। সেই কবে একটা জয় পেয়েছিলো ওরা, এরপর এই শব্দটাই হয়ে ওঠে অমাবশ্যার চাঁদ। কখনো ব্যাটিং ভালো হয়েছে সিলেটের। আবার কখনো বোলিং। এ দুইয়ের সম্মিলন ঘটাতে না পারায় সবার আগে বিপিএল শেষ হয় ফ্র্যাঞ্জাইজটির। তবে শেষটায় সান্ত্বনার জয় তুলে নিতে চায় তারা।
ব্যর্থ বিপিএলে সিলেটের জন্য শান্তনা হতে পারে কলিন ইনগ্রামের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়া। একই সঙ্গে বিষয়টা আক্ষেপেরও। কারণ ভালো ব্যাট করেও যে দলের দুরবস্থা কাটাতে পারেননি বিজয়রা।
জাকির হাসান, উইল জ্যাকস, আফিফ হোসেন ধ্রুব (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, আকবর আলী, বেনি হাওয়েল, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, চ্যাডউইক ওয়ালটন, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
কলিন ইনগ্রাম, এনামুল হক বিজয়, লেন্ডল সিমন্স, রবি বোপারা (অধিনায়ক), আলাউদ্দিন বাবু, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মিজানুর রহমান, শফিউল হায়াত হৃদয়, সোহাগ গাজী, জুবায়ের হোসেন লিখন ও একেএস স্বাধীন।